রুশ ট্যাঙ্ক বহরকে রুখতে ইউক্রেনের অস্ত্র আমেরিকার দেওয়া জ্যাভলিন। ছবি: সংগৃহীত।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ৪৪ দিন গড়িয়ে গেলেও সাফল্য পায়নি রুশ ফৌজ। বরং মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমে প্রতি ইঞ্চি জমি দখলে ইউক্রেন সেনার শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়ছে তারা। এমনকি, ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুগত বাহিনীর প্রত্যাঘাতে বেশ কিছু দখল করা এলাকাও হাতছাড়া হয়েছে রাশিয়ার। এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ বাড়াতে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো।
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে নেটোর সদর দফতরে যান। নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গের সঙ্গে বৈঠকের পর কুলেবা বলেন, ‘‘বিদেশি দখলদারদের ইউক্রেন থেকে তাড়ানোর জন্য আমাদের এখন একটাই চাহিদা— অস্ত্র।’’
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ইউক্রেনকে আরও ৩০ কোটি ডলার (প্রায় ২,২৭২ কোটি টাকা) সামরিক সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। এর মধ্যে রয়েছে রুশ ট্যাঙ্ক বহরকে রোখায় জন্য ইউক্রেন সেনার প্রধান হাতিয়ার এফজিএম-১৪৮ জ্যাভলিন। আমেরিকায় তৈরি এই ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গত দেড় মাসে রাশিয়ার বহু ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়েছে। ৫,০০০ জ্যাভলিনের পাশাপাশি ইউক্রেন সেনাকে জরুরি ভিত্তিতে ১,৪০০টি বিমান বিধ্বংসী স্ট্রিংঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেন্টাগন।
পাশাপাশি, ৭,০০০টি সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংসকারী অস্ত্র, বেশ কিছু লেজার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র, বিভিন্ন ক্যালিবারের ৫ কোটি রাউন্ড গোলাগুলি এবং ৪৫ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট দেওয়া হবে ইউক্রেন সেনাকে। রুশ বাহিনীর উপর আকাশপথে হামলা চালানোর জন্য দেওয়া হবে কয়েকশো বিস্ফোরক বোঝাই ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ও।