ফাইল চিত্র।
বাঁচতে হলে ‘শত্রুপক্ষে’ নাম লেখাতে হবে। রুশ-অধিকৃত মারিয়ুপোল ও তার আশপাশের অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সরকারি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের এমনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাজি হননি অনেকেই। পরিণতি হয় কারাবাস, নয়তো মৃত্যুদণ্ড। একটি ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে এই তথ্য।
মারিয়ুপোলের মেয়র বাদিম বয়চেঙ্কো দাবি করেছেন, স্বঘোষিত ‘ডনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ (ডিপিআর)-এ একটি ভুয়ো আদালত তৈরি করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ওই আদালতে আজ়ভ গ্রামের প্রধানকে ১০ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য এক সরকারি আমলাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধ চলাকালীন মারিয়ুপোলে যাঁরা সাধারণ মানুষকে উদ্ধারে সাহায্য করেছিলেন, বাড়ি বাড়ি খাবার, পানীয় জল, প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দিয়েছিলেন, তাঁদের ওলেনিভকা জেলে বন্দি রাখা হয়েছে। শহরের প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এক ইউক্রেনীয় বিচারকেরও বিচার চলছে। ভুয়ো আদালতে তাঁরও সাজা ঘোষণা হবে।’’ জেলে অত্যাচারের কাহিনিও শোনা যাচ্ছে।
মারিয়ুপোলের মেয়র বয়চেঙ্কো ও তাঁর উপদেষ্টা পেত্রো অ্যান্ড্রিশ্চেঙ্কো আগেই শহর ছেড়ে গোপন আস্তানায় চলে গিয়েছিলেন। তাই বেঁচে গিয়েছেন। পেত্রো জানান, মারিয়ুপোলে ইতিমধ্যেই রুশ পাসপোর্ট বিলি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিপিআর-এ প্রশাসন গঠনের কাজও শুরু করে দিয়েছে মস্কো।
পূর্ব ইউক্রেনের বাকি অংশ দখলেও মরিয়া রাশিয়া। জ্বলছে সেভেরোডনেৎস্ক। লুহানস্ক প্রায় দখল করে ফেলেছে মস্কোর বাহিনী। ক্রেমলিনকে ঠেকাতে ইউক্রেনে রকেট পাঠাবে বলেছে আমেরিকা। তাতে রুশ আইনপ্রণেতা হুমকি দিয়েছেন—‘‘দু’টো সারমাট ক্ষেপণাস্ত্র ফেললে, আমেরিকার পূর্ব উপকূল সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে যাবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।