গত তিন দিন ধরে রাজধানী কিভ এবং খারকিভ শহরে অনবরত বোমাবর্ষণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। তেমনই একটি বোমা এসে পড়েছিল বছর বাহান্নর শিক্ষিকার বাড়িতে।
ওলেনা কুরিলো। ছবি: রয়টার্স।
গোটা মুখে চাপচাপ রক্তের দাগ। শুকিয়ে গিয়েছে। যন্ত্রণাবিদ্ধ কিন্তু কঠোর মুখ! চোখের চাহনিতে দৃঢ়তা ঠিকরে বেরোচ্ছে। আর এই ছবিই এখন গোটা বিশ্বে সামনে ‘যুদ্ধের মুখ’ হয়ে উঠেছে।
ঘটনাস্থল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। রক্তমাখা মুখটি সে দেশের খারকিভ অঞ্চলের চুগুয়েভ শহরের এক শিক্ষিকার। নাম ওলেনা কুরিলো। পেশায় শিক্ষিকা।
গত তিন দিন ধরে রাজধানী কিভ এবং খারকিভ শহরে অনবরত বোমাবর্ষণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। তেমনই একটি বোমা এসে পড়েছিল বছর বাহান্নর শিক্ষিকার বাড়িতে। বিকট শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠেছিল। বোমার অভিঘাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল বাড়িটি। কিন্তু বরাতজোরে বেঁচে যান কুরিলো। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কাচের একটি বড় টুকরো তাঁর মুখে এসে আঘাত করে। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় মুখ।
তাঁকে উদ্ধার করে ইউক্রেন সেনা। চিকিৎসা করানো হয়। মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা। সারা মুখে রক্তের দাগ। শুকিয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে তিনি যেন আরও দৃঢ় আরও কঠোর। রাশিয়াকে রুখতে নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত।
ইতিহাসের শিক্ষিকা। যুদ্ধের অনেক ইতিহাসই তাঁর নখদর্পণে। কিন্তু নিজে সেই যুদ্ধের শিকার হবেন কখনও ভাবতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন কুরিলো। তিনি বলেন, “ইউক্রেন আমার জন্মভূমি। আমার মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য যা করতে হয় তাই করব।”