জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট ছ’টি চুল্লি রয়েছে। ফাইল চিত্র ।
জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের দখল নিয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গা জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিল রাশিয়া। ওই পরমাণু কেন্দ্রের দখল নেওয়ার পর আন্দ্রেই ভ্লাদিমির শেফচিককে তার দায়িত্ব দিয়েছে ক্রেমলিন। আন্দ্রেই বলেছেন, ‘‘এই পরমাণু কেন্দ্র থেকে ইউক্রেনের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে পূর্ব ইউক্রেনের সমস্ত রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।’’
জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের এনেরহোদার শহরে ডিনিপার নদীর কাছে কাখোভকা জলাধারের তীরে। ডনবাস অঞ্চল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার এবং রাজধানী কিভের ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এই পরমাণু কেন্দ্র ইউক্রেনের অন্যতম বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র। জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট ছ’টি চুল্লি রয়েছে। সাধারণত এটি ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এ ছাড়াও এই পরমাণু কেন্দ্র থেকে দেশের মোট পারমাণবিক শক্তির অর্ধেকই উত্পাদিত হয়। তাই এই পরমাণু কেন্দ্র হাতছাড়া হওয়ার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারাও। গত মার্চ মাসে ইউক্রেনের কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কিভ-মস্কো সঙ্ঘাতে ব্যাপক রুশ গোলাবর্ষণের কারণে জাপোরিঝিয়া পারমাণু কেন্দ্র ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ‘একনায়ক’ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ নয়, ‘সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছেন। কিন্তু তিনি যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন বলে নিশ্চিত পশ্চিমী দুনিয়া। পুতিনের সামরিক অভিযানের ঠেলায় ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত ইউক্রেনে হাজারো মানুষ বলি হয়েছেন। এর পর আবার সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করলে ইউক্রেনকে আরও ভয়াবহতার মুখোমুখি হতে হবে বলেও মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য পুতিন আগামী ৯ মে দিনটিকে বেছে নিতে পারেন বলেও একটি সূত্রের দাবি।