চিনফিং এবং পুতিন। ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান নিয়ে কূটনৈতিক ভাবে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দাপ্রস্তাব সমর্থন করেনি শি জিনপিং সরকার। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠল, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়া সামরিক এবং অর্থনৈতিক সাহায্য চেয়েছে চিনের কাছে।
আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যম রবিবার দাবি করেছিল, ইতিমধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক সাহায্যের বিষয়ে কথা বলেছেন বেজিংয়ের সঙ্গে। সোমবার সকালে একই দাবি করেন, আমেরিকার বিদেশ দফতরের এক আধিকারিক।
কিন্তু এই দাবি চিন সোমবার খারিজ করেছে। চিনা বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমেরিকা দাবি করেছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়া আমাদের কাছে সামরিক সরঞ্জাম চেয়েছে। আমেরিকার এমন দাবি বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, চিনের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষপ্রসূত বিভ্রান্তি’ ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। রাশিয়ার তরফেও চিনা সাহায্য চাওয়ার দাবি খারিজ করা হয়েছে।
সোমবার যুদ্ধের ১৯তম দিনে রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক দফতর (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৭ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ লক্ষই গিয়েছেন পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে।