প্রতিবাদী তরুণীকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ছবি সংগৃহীত।
ইউক্রেনের প্রতিবাদ ফের উঠে এল ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে। এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এই উৎসবে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দিয়েছিলেন। আজ বাইরের লাল কার্পেটে দাঁড়িয়ে নিজের পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন এক তরুণী। দেখা গেল, তাঁর গায়ে আঁকা ইউক্রেনের পতাকা। তার উপরে ইংরেজিতে লেখা, ‘আমাদের ধর্ষণ করা বন্ধ করো!’ এ ছাড়া তাঁর শরীর জুড়ে রক্তের মতো করে লাল রঙের ছোপ। নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। জ়েলেনস্কি আগেই বলেছেন, রুশ সেনাদের হাতে ইউক্রেনের কয়েকশো নারীর ধর্ষিতা হওয়ার খবর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। রেহাই পায়নি শিশুরাও।
যুদ্ধের গতি কিছুটা কমতেই ইউক্রেন-পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে বিশ্বের ধনীতম দেশগুলির গোষ্ঠী জি-৭। বিশেষ করে যুদ্ধকালীন সময়ে যে বিলের বোঝা জমতে শুরু করেছে ইউক্রেনের কাঁধে, তা মেটাতে ১৮৪০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য ঘোষণা করেছে জি-৭। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহাল বলেছেন, এই তহবিল দেশকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে একই সঙ্গে জ়েলেনস্কি বলেছেন, ‘‘ডনবাসের শিল্পাঞ্চল সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে রুশরা। নির্বিচারে বোমা ফেলেছে ওরা। এতটুকু বাড়িয়ে বলছি না, ডনবাস এখন নরক।’’ গত কালও ডনবাসের সেভেরোডোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ বোমায় ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কাল বেশ রাতের দিকে একটি ভিডিয়ো বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘ওডেসা অঞ্চলে এখনও টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ডনবাস। ইচ্ছাকৃত ভাবে রাশিয়া এই কাজ করেছে। ওদের উদ্দেশ্যই ছিল যত বেশি সংখ্যক ইউক্রেনীয়কে খুন করা। ’’
ছবি রয়টার্স।
জার্মানিতে জি-৭-এর বৈঠকে আমেরিকান অর্থসচিব জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ‘‘ইউক্রেনের পিছনে আমরা আছি। এই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে আমরা সকলে মিলে ওদের টেনে তুলব।’’ আমেরিকান সেনেট আলাদা করে ইউক্রেনের জন্য ৪০০০ কোটি আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে। এই ক্ষেত্রে সেনেটে যে ভোটাভুটি হয়েছিল, তাতে ৮৬-১১ ভোট পেয়েছে ইউক্রেন।