জায়গাটা কিভ। ইউক্রেনের রাজধানী। যে শহর এখন প্রতি মুহূর্তে প্রহর গুনছে হামলার। ছবি: ম্যাক্সার।
দোকানের দরজা থেকে শুরু হয়েছে লাইন। দরজার চৌকাঠ থেকেই উঠোন। যা কম করে আধা কিলোমিটার দূরের রাস্তায় গিয়ে মিলেছে। সার দেওয়া মানুষের পংক্তি বেঁকেচুরেও শেষপর্যন্ত উঠোনে আঁটিয়ে উঠতে পারেনি নিজেকে। কংক্রিটের চত্বর ছাপিয়ে গিয়ে পড়েছে রাস্তায়।
খোলা আকাশের নীচে এতগুলো মানুষ! প্রাণের ভয় নেই এদের! ছবি: ম্যাক্সার।
জায়গাটা কিভ। ইউক্রেনের রাজধানী। যে শহর এখন প্রতি মুহূর্তে প্রহর গুনছে হামলার। যেখানে বিশাল বহর নিয়ে যে কোনও সময় অনুপ্রবেশ করতে পারে শত্রু রাশিয়ার সেনারা। ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের ভয়ে যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ সেনার বাঙ্কারে, কেউ বা মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই কিভে খোলা আকাশের নীচে এতগুলো মানুষ! প্রাণের ভয় নেই এদের!
সার দিয়ে পর পর বাড়ির মাথা থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁওয়া। ছবি: ম্যাক্সার।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেল, প্রাণের ভয়ের থেকেও বড় সমস্যা এখন পেটের দায়! সাত দিনের যুদ্ধে বাড়িতে জমা খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। খিদের জ্বালা শিশুরা তো বটেই বড়রাও সহ্য করতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই ছাদের নিরাপদ আড়াল ছেড়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে। দোকানে পৌঁছে লাইন দিতে হয়েছে শ’খানেক মানুষের পিছনে। খাবার কেনার সেই লাইনের ছবি ধরা পড়েছে মহাকাশ থেকে। কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে।
ছবি: ম্যাক্সার।
কিভের মতোই ইউক্রেনের আর এক শহর চার্নিহিভেও একই দৃশ্য ধরা পড়েছে কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে। আমেরিকার ওই উপগ্রহ চিত্রেই এর আগে ধরা পড়েছিল রাশিয়ার প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সেনা সাঁজোয়ার ছবিও।
ম্যাক্সার নামে ওই কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ধরা পড়েছে বোমা বর্ষণে বিধ্বস্ত বাড়ির ছবিও। সার দিয়ে পর পর বাড়ির মাথা থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁওয়া।
আর একটি ছবিতে ধরা পড়েছে চার্নিহিভ শহরের সীমান্তে সেনা সাঁজোয়ার সারি। বোমাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া জনবসতি এলাকার ছবিও দেখা গিয়েছে উপগ্রহ চিত্রে। একটা বাড়িরও ছাদ নেই। দেওয়াল ছাদ গুঁড়িয়ে পরে রয়েছে শুধু খোপ কাটা ঘরের মেঝে। আর দেখা গিয়েছে শরণার্থীদের যাঁরা ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে অপেক্ষা করছেন সীমা পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য।