বহু মানুষ আবার মেট্রো স্টেশনের ভিতরে আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে ক্রমে মেট্রো স্টেশনগুলি ভরে উঠছে নাগরিকদের ভিড়ে। মেট্রো স্টেশনগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে বোমাবর্ষণেও সেগুলি রক্ষা করতে পারবে আশ্রিতদের।
কিভ ছেড়ে গাড়ি নিয়ে পালাচ্ছেন মানুষ। ছবি: রয়টার্স।
মাথার উপর দিয়ে বিপুল গর্জন করে হুশ হুশ করে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান। শহর জুড়ে আপৎকালীন সাইরেনের আওয়াজ। রাস্তায় সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে। রাজধানী কিভ ছেড়ে পালানোর চেষ্টায় শশব্যস্ত মানুষ। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতেই যেন আমূল বদলে গিয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিভের ছবিটা।
সকালেই রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের উপর হামলার ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই একের পর এক রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে কিভে। বোমারু বিমানগুলি শহর কাঁপিয়ে উড়ে যাচ্ছে। নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে গাড়ি নিয়ে শহর ছাড়ছে মানুষ।
ইউক্রেনের এক সাংসদ সোফিয়া ফেডিনা বৃহস্পতিবার সকালেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রুশবাহিনীর হামলা থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে তাঁদের বাঙ্কারগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ওই বাঙ্কারগুলিতে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সরকারের সেই আশ্বাসে যেন ভরসা রাখতে পারছেন না কিভের বাসিন্দারা। রাশিয়াও যেমন দাবি করেছে, জনবসতি এলাকায় নয়, ইউক্রেনের সামরিক এবং বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে। রাশিয়ার সেই আশ্বাসেও ভরসা রাখতে পারছেন না ইউক্রেনের নাগরিকরা।
বহু মানুষ আবার মেট্রো স্টেশনের ভিতরে আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে ক্রমে মেট্রো স্টেশনগুলি ভরে উঠছে নাগরিকদের ভিড়ে। মেট্রো স্টেশনগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে বোমাবর্ষণেও সেগুলি রক্ষা করতে পারবে আশ্রিতদের। তাই যাঁদের শহর ছাড়ার উপায় নেই তাঁরা মেট্রো স্টেশনগুলিকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
চার দিকে কচিকাঁচা, জোয়ান থেকে বয়স্কদের ভিড়। সকলের মুখেই একটা আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। মেট্রো স্টেশনগুলি যেন এক লহমায় অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে পরিণত হয়েছে।