কিভ ছাড়লেন আসমা-সহ আরও পড়ুয়ারা। ছবি: টুইটার
ধন্যবাদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্ঘাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত কিভ থেকে বেরিয়ে এমনই কথা শোনা গেল এক পাকিস্তানি পড়ুয়ার মুখে। ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে কিভ থেকে বেরিয়ে আসেন মহিলা পড়ুয়া আসমা শাফিক। কিভের সীমানা পেরিয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানান, ‘‘ইউক্রেনের কঠিন পরিস্থিতির মুখ থেকে বের করে আনতে সাহায্য করার জন্য আমি কিভের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করছি আমরা খুব শীঘ্রই সুরক্ষিত ভাবে নিজেদের বাড়ি ফিরে যাব।
আসমা এবং তাঁর মতো আরও অনেক পড়ুয়া এখন ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখান থেকেই তারা যুদ্ধের কবলে পড়া দেশ থেকে বেরিয়ে নিজের নিজের দেশের দিকে পাড়ি দেবে।পাশাপাশি বুধবার কিভ-মস্কো সঙ্ঘাত ১৪ দিনে পা দিল। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বের শহর সুমিতে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া ৬৯৪ জন ভারতীয় পড়ুয়ার পর প্রত্যেককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। তিনি বলেন, ‘‘সোমবার রাতেই সুমি শহর থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের বাসে তুলে পলতাভা শহরে পাঠানো শুরু হয়েছিল। আমি নিজে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেছিলাম। আজ ৬৯৪ জনকেই সুমি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’’
বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সুমিতে আটকে পড়া ভারত--সহ বিভিন্ন দেশের পড়ুয়াদের দক্ষিণের শহর পলতোভা থেকে সড়কপথে পশ্চিম সীমান্তের কোনও দেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুদ্ধে পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছিলেন। সে সময়ই মোদী সুমি-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারের বিষয়ে যুযুধান দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সাহায্য চেয়েছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রের খবর।