ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: টুইটার
তিনি কাউকে ভয় করেন না এবং এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও কিভ ছেড়ে পালাননি। কিভ-মস্কো সঙ্ঘাত ১৩ দিনে পড়তেই এমনই বার্তা দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের উত্তর এবং পশ্চিম দিক থেকে ধীরে ধীরে রাজধানী কিভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে রুশ সেনা। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের মুহুর্মুহু আঘাতে বিপর্যস্ত ইউক্রেন। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর জেলেনস্কি এই দিন বলেন, ‘‘আমি কিভের বানকোভা স্ট্রিটে আছি। আমি কোথাও লুকোচ্ছি না। আমি কাউকে ভয়ও করি না।’’ ক্রেমলিনের সঙ্গে এই সঙ্ঘাতে জিততে তাঁর যা করার তাই করবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার কিভের উপর ক্রেমলিন আগ্রাসনের ১৩তম দিন। ইতিমধ্যেই তিন তিনবার রাশিয়া তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়েছে বলেও ইউক্রেন সরকার দাবি করেছে। রাশিয়া সরকার ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরগুলি থেকে সাধারণ জনগণকে বের করার জন্য নিরাপত্তা করিডর দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি ৪৪ বছরের এই প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, ক্রেমলিনের প্রস্তাবিত ছ’টি করিডরের চারটিই রাশিয়া এবং রাশিয়ার বন্ধু বেলারুশের নিয়ে যাবে। তাই সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করেই এই প্রস্তাব ফেরান জেলেনস্কি। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করা নিরীহ জনগণের উপর নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগও আনেন তিনি।
রবিবার ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারিও দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানান, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন তখনই বন্ধ হবে, যখন তাঁদের সমস্ত শর্ত পূরণ করা হবে। তিনি আরও জানান, ক্রেমলিনের দাবি পূরণ হওয়ার পর তবেই কিভ আক্রমণ বন্ধের ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা হবে। রবিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানকে টেলিফোন বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনের তরফে আলোচনার লক্ষ্য আরও গঠনমূলক হওয়া উচিত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুতিন এ-ও বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ীই ইউক্রেনে ‘বিশেষ অপারেশন’ চালাচ্ছে রাশিয়া।
অন্য দিকে, রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন করায় হাজারের বেশি প্রতিবাদীকে আটক করা হয়েছে। এঁরা নেটমাধ্যমে বিভিন্ন যুদ্ধবিরোধী পোস্ট এবং ভিডিয়ো পোস্ট করতেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার একটি সংবাদ সংস্থা।