কেভিন রায়ানের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়াটার্স জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে যে কর্মীরা কাজ হারাচ্ছেন তাঁদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে আর ৬০-৮০ দিন সময় দেওয়া হবে। ওই সময় তাঁরা কাজের বিনিময়ে বেতনও পাবেন।
প্রতীকী ছবি।
একটি জুম কল করে এক সঙ্গে ৯০০ কর্মীকে ছাঁটাই করে সংবাদের শিরোনামে এসেছিল নিউইয়র্কের মর্টগেজ সংস্থা বেটার ডট কম। কিন্তু এ বার আরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটল সংস্থাটি।
বেটার ডট কম জানিয়েছে, আমেরিকা এবং ভারত থেকে তারা তিন হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করছে। সংস্থার অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি কেভিন রায়ান জানিয়েছেন, সুদের হার বাড়তে থাকায় তাঁদের ব্যবসা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন। যার জেরেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে সংস্থাকে। তাঁর কথায়, “আমরা কাজের পরিধি কমাচ্ছি। ফলে দুর্ভাগ্যবশত কর্মীর সংখ্যাও কমাতে বাধ্য হচ্ছি।”
কেভিন রায়ানের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়াটার্স জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে যে কর্মীরা কাজ হারাচ্ছেন তাঁদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে আর ৬০-৮০ দিন সময় দেওয়া হবে। ওই সময় তাঁরা কাজের বিনিময়ে বেতনও পাবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বেটার ডট কম-এর সিইও বিশাল গর্গ একটি জুম কলে কর্মীদের বৈঠকে ডাকেন। বৈঠকে বিশাল বলেছিলেন, ‘‘খুব একটা ভাল খবর নিয়ে আসিনি। বাজার দ্রুত বদলাচ্ছে। বাজারে টিকে থাকতেই কোম্পানিকে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আমার, তাই আমার থেকেই শোনা উচিত ছিল আপনাদের। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কর্মী ছাঁটাই করছি আমি। যা অত্যন্ত কঠিন কাজ। আমি সত্যিই এটা করতে চাই না। এর আগের বার ভীষণ কেঁদেছিলাম আমি। আশা করছি, এ বার শক্ত থাকতে পারব। এই মুহূর্ত থেকে আপনারা এই সংস্থার কর্মী নন।’’ মাত্র এক মিনিটের সেই জুম কলেই তিনি জানিয়ে দেন, ৯০০ কর্মীকে ছাঁটাই করছে সংস্থা।
বেটার ডট কম-এর এমন সিদ্ধান্তে বিপুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। কেন এত জন কর্মীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হল তা নিয়ে নানা বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে সংস্থাকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরও এক বার কর্মীদের অন্ধকারে ঠেলে দিল সংস্থাটি। তবে এ বার তিন গুণ বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করল সংস্থা।