প্রতীকী ছবি।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক দিন আগে থেকেই দেশের সেনা বাহিনীকে পরমাণু যুদ্ধের মহড়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি নিজে সেই মহড়ার উপরে নজর রেখেছিলেন বলে জানিয়েছিল তাঁরই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি তখন থেকেই বলতে শুরু করেছিল, তলে তলে পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে রাশিয়া। তবে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের অভিযোগ, পরমাণু যুদ্ধের পরিকল্পনা আসলে পশ্চিমী দেশগুলিরই মস্তিষ্কপ্রসূত, তাঁদের নয়।
সম্প্রতি এক অনলাইন বৈঠকে লাভরভ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সেটা পরমাণু যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই হবে না। তার জন্য আমেরিকা আর পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। গোটা বিশ্বে কার্যত কোণঠাসা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের সমালোচনার ঝড় ওঠে। পশ্চিমের দেশগুলি ফের রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের পরিকল্পনার অভিযোগ তোলে। আজ তাই লাভরভকে বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁরা পরমাণু যুদ্ধের কোনও রকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন না। পশ্চিমী দেশগুলির মাথাতেই শুধু এই ধরনের পরিকল্পনা ঘুরছে। তাই তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলছে। তবে লাভরভ হুঁশিয়ারির সুরে বলে রেখেছেন, ‘‘এক বার পরমাণু হামলা হলে এটা ভাবার কারণ নেই যে আমরা ভারসাম্য রক্ষা করতে জানি না।’’ অর্থাৎ পাল্টা জবাব দিতে তাঁরাও যে প্রস্তুত সেটা জানিয়ে রেখেছেন লাভরভ।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে রাশিয়ার। তা ছাড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রেরও
বিশাল সম্ভারও রয়েছে তাদের। ফলে তারা যে কোনও মুহূর্তে পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির। তবে লাভরভ সেই অভিযোগ আজ উড়িয়ে দিয়েছেন।
যদিও একই সঙ্গে আজ আমেরিকার বিরুদ্ধে আরও একবার তোপ দেগেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। আমেরিকান প্রশাসনকে অ্যাডল্ফ হিটলার এবং নেপোলিয়ান বোনাপার্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন লাভরভ। তাঁর কথায়, ‘‘তাঁদের আমলে নেপোলিয়ান আর হিটলার ইউরোপকে নিজেদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছিলেন। আর এখন আমেরিকাও ঠিক সেটাই করছে।’’