পূর্ব ইউক্রেনে রুশ সেনার সাঁজোয়া গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
মারিয়ুপোল, বুচার পরে এ বার সিভেরোডোনেৎস্ক। ফের ইউক্রেনে সাধারণ নাগরিকদের খুনের অভিযোগ উঠল হামলাকারী রুশ ফৌজের বিরুদ্ধে। পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের ওই শহরের মেয়র আলেকজন্ডার স্টাইউক জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহের যুদ্ধে সেখানে দেড় হাজারেরও বেশি অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।রুশ বাহিনীর ধারাবাহিক গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের ফলে শহরের ৬০ শতাংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। স্টাইউক বলেন, ‘‘এখনও ১২-১৩ হাজার অসামরিক নাগরিক আটকে রয়েছেন শহরে। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’’ এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার পশ্চিমি দুনিয়ার কাছে মাল্টিপল রকেট সিস্টেম-সহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘খারকিভ এবং ডনবাস অঞ্চল জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে রুশ সেনা।’’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। কিভ এবং খারকিভে ইউক্রেন ফৌজের প্রত্যাঘাতে পিছু হটার পর গত ৬ মে থেকে লুহানস্ক দখলের জন্য নতুন করে অভিযানে নেমেছে রুশ ফৌজের ৪ এবং ১৩ নম্বর ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট। পাশাপাশি, ৪২৩ মর্টার রেজিমেন্ট এবং চেচেনিয়ার মিলিশিয়া নেতা রমজান কাদিরভের বাহিনী রয়েছে বলেও পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি। বুচা এবং মারিয়ুপোলে গণহত্যার পিছনেও প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাঠানো চেচেন যোদ্ধাদের ‘ভূমিকা’ সামনে এসেছে আগে।