ইউক্রেনকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে রুশ বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।
কিভ দখলের জন্য নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ল রুশ ফৌজ। শনিবার যুদ্ধের সপ্তদশ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ বাড়িয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। পাশাপাশি, সাঁজোয়া গাড়িতে বসানো ‘বিএম-২১ গ্রাদ’ রকেট ছোড়া হচ্ছে কিভের নানা পূর্বনির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ‘মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম’ (এমএলআরএস)-এর ক্ষয়ক্ষতি করার ক্ষমতা মারাত্মক। গত ২৪ ঘণ্টায় কিভের নানা আবাসিক এলাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। ফলে অসামরিক বহু ব্যক্তি হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিভ শহরের তিন দিক ঘিরে মোতায়েন রুশ ট্যাঙ্ক বহরও শহর দখলের চূড়ান্ত যুদ্ধে নেমে পড়েছে বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের খবর। প্রসঙ্গত, গ্রাদ-এর ৫০০ মিটার- ২০ কিলোমিটার পাল্লার মডেলগুলি ব্যবহার করেই ইতিমধ্যেই খারকিভ, খেরসন, মারিয়ুপোল-সহ কয়েকটি শহরে লড়াই চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এ ছাড়া টি-৭২ ট্যাঙ্কের উপর বসানো ‘টস-১’ রকেটও ছোড়া হচ্ছে কিভ লক্ষ্য করে। কিভ-মুখী রুশ আর্টিলারি কনভয়ে ৫৫০ কিলোমিটার পাল্লার এই এমএলআরএস-এর উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
শুক্রবার রাশিয়া সেনার একাংশের তরফে ইউক্রেন যুদ্ধে নিষিদ্ধ ‘ভ্যাকুয়ম বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগও স্বীকার করা হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি। ‘টিওএস-১এ’ নামের ‘থার্মোবারিক রকেট’ই পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে ‘ভ্যাকুয়ম বোমা’ নামে পরিচিত। যা অন্য বিস্ফোরকের থেকে বহু গুণ বেশি বিধ্বংসী।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং সামরিক সহায়তা দিলেও রুশ হামলা ঠেকাতে সরাসরি সেনা পাঠাবে না পেন্টাগন। বাইডেনের মতে ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের ফলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াবে। প্রসঙ্গত, ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের চতুর্থ দিনে কিভের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ সেনা। কিন্তু ইউক্রেন বাহিনীর প্রত্যাঘাতে পিছু হঠতে বাধ্য হয় তারা।