জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি, কিন্তু শর্ত একটাই, সবার আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে মস্কোকে। শনিবার সাংবাদিকদের জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে গিয়ে ১৩০০ ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে।
ফাইল ছবি।
ইউক্রেনের হামলার ঝাঁঝ ক্রমেই বাড়াচ্ছে রাশিয়া। পশ্চিম প্রান্তে লুভিভের সেনা ছাউনিতে বিমান হামলায় ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানালেন, মানবিক করিডোর (হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর) ব্যবহার করে এখনও পর্যন্ত এক লক্ষ ২৫ হাজার ইউক্রেনবাসীকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে তাঁরা সক্ষম হয়েছেন। এ দিকে পোপ ফ্রান্সিস অবিলম্বে ইউক্রেনে গণহত্যা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ১৮তম দিনে। কিভকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে ক্রমশ রাজধানী দখলের দিকে এগোচ্ছে রুশ বাহিনী। একের পর এক বিভিন্ন শহরে বাড়ছে রাশিয়ার যুদ্ধ বিমানের হামলা। ইউক্রেনে-পোল্যান্ড সীমান্তের লুভিভ প্রদেশের একটি সেনা ছাউনিতে রাশিয়ার যুদ্ধ বিমান হামলা চালায়। সেখানে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত শতাধিক। এত দিন রাশিয়া মূলত ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্ত দিয়ে লাগাতার আগ্রাসন চালিয়েছে। এ বার পশ্চিম সীমান্তেও হামলা শুরু হয়ে গেল।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মানবিক করিডোরের সাহায্যে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি, কিন্তু শর্ত একটাই, সবার আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে মস্কোকে। শনিবার সাংবাদিকদের জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে গিয়ে ১৩০০ ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে।