তীরে এসে কি তরী ডুববে? পুতিন-জেলেনস্কি আলোচনা নিয়ে উদ্বেগ। গ্রাফিক—সনৎ সিংহ
যুদ্ধ থামাতে চেয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন এবং রাশিয়া। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদর আশঙ্কা, তীরে এসে তরী ডুবতে পারে। কেন না আলোচনার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলোচনাস্থল বেলারুস।
ক্রেমলিনের তরফেই এসেছে আলোচনার প্রস্তাব। যদিও এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে ইউক্রেনের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন একবার।
রবিবার ভারতীয় সময় দুপুর দু’টো নাগাদ রাশিয়া জানায়, ইউক্রেনের সঙ্গে তারা আলোচনায় বসতে রাজি। কোথায় আলোচনা বসবে, তা-ও জানিয়ে ক্রেমলিন বলে ইউরোপের দেশ বেলারুসে হতে পারে আলোচনা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই এই প্রস্তাবের জবাব আসে ইউক্রেনের তরফেও। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি জানান, তিনিও আলোচনায় বসতে রাজি কিন্তু তাঁর একটি শর্ত আছে।
জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, আর যেখানেই হোক তিনি রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুসে আলোচনায় বসতে চান না।
কিন্তু কেন বেলারুসে আলোচনায় আপত্তি জেলেনস্কির? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য তা নিয়ে কোনও জল্পনার অবকাশ রাখেননি। তিনি বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনাস্থল হিসেবে বেলারুস পছন্দ নয় কারণ, বেলারুসকে ব্যবহার করেই ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার বেলারুস-প্রস্তাবের জবাবে পাল্টা জেলেনস্কি আরও পাঁচটি আলোচনার জায়গার নাম বলেছেন। একটি অনলাইন বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তানবুল, বাকু— আমরা এই সবক’টি জায়গার প্রস্তাব দিলাম। এর যে কোনও একটিতে আলোচনায় বসা যেতে পারে।’’
যদিও ইউক্রেনের প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক কোনও জবাব দেয়নি মস্কো। বরং, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্য়ে যখন যুদ্ধ থামানো নিয়ে আলোচনায় বসার কথা হচ্ছে, তখনও রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে একই রকম সক্রিয়। ইউক্রেনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছে তারা।