রাষ্ট্রপুঞ্জে আর রবীন্দ্র। ছবি সংগৃহীত।
দশ মাস হতে চলল রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে বিশ্বের খাদ্য সঙ্কট। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত সরকার।
মানবিক সাহায্য ও বিপর্যয় মোকাবিলায় সহযোগিতা বিষয়ে সমন্বয় মজুবত করার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণসভায় ভারতের উপ-চিরস্থায়ী প্রতিনিধি আর রবীন্দ্র এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। ভারত ও সুইডেনের হয়ে একটি যুগ্ম বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের খাদ্য সঙ্কট আরও বেড়েছে। ভারত ও সুইডেন, বিশেষ করে এই দুই দেশ, বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত।’’
ষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের উপস্থিতিতে কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যশস্য পরিবহণ নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তি হয় মাস কয়েক আগে। তাতে বলা হয়, শস্যবাহী জাহাজ লক্ষ্য করে রাশিয়া বা ইউক্রেন কেউ হামলা চালাবে না। কথার খেলাপ একেবারে ঘটেনি, তা নয়। তবে সমুদ্রপথে খাদ্যশস্য রফতানি বন্ধ হয়নি। প্রাথমিক ভাবে চুক্তির যে সময়সীমা ধার্য হয়েছিল, ১৭ নভেম্বর তা আরও ১২০ দিন বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী বন্দরগুলি থেকে শস্যদানা, খাদ্যসামগ্রী, সার রফতানি চালু রয়েছে। রবীন্দ্র জানিয়েছেন, এতে খুশি ভারত ও সুইডেন। তিনি আরও জানান, আফগানিস্তান, মায়ানমার-সহ খাদ্যাভাবে থাকা দেশগুলোকে ১৮ লক্ষ টন গম রফতানি করেছে ভারত।
রবীন্দ্র বলেন, ‘‘বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা মানুষদের জীবনে বদল আনতে পারে কিছু মানবিক ব্যবস্থা। যাঁরা সব চেয়ে কষ্টে রয়েছেন, তাঁদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে পারে।....২০২৩ সালে যাতে আর কোনও ভাবে এই মানবিক ব্যবস্থা ভেঙে পারতে না পারে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’’
গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রপুঞ্জ ও তার সহযোগী সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে মানবিক সাহায্য ব্যবস্থা খাতে আনুমানিক অন্তত ৫ হাজার ১৫০ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে। এ বছরের তুলনায় যা ২৫ শতাংশ বেশি। আগামীবছর ৬৯টি দেশে আনুমানিক ৩৩ কোটি ৯০ জনের সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে। এ বছরের তুলনায় সংখ্যাটা ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বেশি। রবীন্দ্র বলেন, ‘‘২০২২ সাল চরম পরিস্থিতিতে কেটেছে। গোটা বিশ্ব জুড়ে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব ও উদ্বেগ নজিরবিহীন খাদ্য সঙ্কট তৈরি করেছে। শক্তি-নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।’’