ইউক্রেনের রাস্তায় রুশ ট্যাঙ্কের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: রয়টার্স।
নির্ভুল নিশানায় আঘাত হেনে একের পর এক রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করছে ইউক্রেন সেনা। সম্প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিয়ুপোল এবং নোভা বাসান থেকে এমন ছবিই প্রকাশ করেছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম। তাদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে এ ভাবেই বন্দর শহর মারিয়ুপোল-সহ বিভিন্ন এলাকায় রুশ আর্মাড ডিভিশনের বহু ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনী।
পোশাকি নাম, ‘অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল’ (সামরিক পরিভাষায়, এটিজিএম)। আমেরিকার দেওয়া এটিজিএম জ্যাভলিনের ‘সৌজন্যে’ ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সেনার বহু টি-৯০, টি-৭২ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। ধ্বংস করেছে রুশ ‘মেকানাইজ্ড ইনফ্যান্ট্রি’-র বিএমপি সিরিজের বহু সাঁজোয়া গাড়িও। রাজধানী কিভের অদূরে নোভা বাসান এলাকায় রুশ ট্যাঙ্কের কনভয়ে ইউক্রেন সেনার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ড্রোন হামলার ভিডিয়ো ফুটেজও সামনে এসেছে।
যদিও যুদ্ধের সূচনাপর্বেই মারিয়ুপোলের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও এখনও শহরের দখল নিতে পারেনি রুশ সেনা। সেনা এবং অসামরিক নাগরিক মিলিয়ে সেখানে অন্তত ৫,০০০ ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। আটকে রয়েছেন প্রায় পৌনে দু’লক্ষ সাধারণ নাগরিক। কিন্তু ছেদ পড়েনি প্রতিরোধে। সেনার পাশাপাশি আমজনতার একাংশও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ডাকে সাড়া দিয়ে শামিল হয়েছেন প্রতিরোধে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক অভিযানের ঘোষণার পরেই কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রুশ ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল্’গুলি থেকে দ্রুত ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে সেনা অবতরণ শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ থেকে রুশ বাহিনী এগিয়ে গিয়েছিল আঝব সাগরের তীরবর্তী মারিয়ুপোল দখলের উদ্দেশে। কিন্তু যুদ্ধের ৪৪তম দিনেও পুতিনের অধরা মারিয়ুপোল। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানের ধারাবাহিক হামলার পরেও কিভ, চেরনিহিভ, খারকিভে চলছে প্রতিরোধের লড়াই।