পরিস্থিতি এমনই যে মুখ খুলতে হয়েছে পুতিনের বাণিজ্য মন্ত্রককে। তারা স্বীকার করে নিয়েছে, দেশে যে কন্ডোমের ঘাটতি হবে তা তাঁদের কাছেও অপ্রত্যাশিত ছিল। পাশাপাশি মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম কন্ডোম উৎপাদক দেশগুলি যেমন তাইল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিন, আগের মতোই রাশিয়ায় কন্ডোম সরবরাহ করে যাচ্ছে।
প্রতীকি ছবি।
যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে। কিন্তু তার সরাসরি প্রভাব এসে পড়ছে বিছানায়! ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে পুতিনের দেশে কন্ডোমের হাহাকার। সরবরাহ বন্ধ হতে পারে যে কোনও সময়, এই আশঙ্কায় রুশ জনতা কন্ডোমের দোকানে লাইন দিচ্ছেন। চলতি মাসে সে দেশে কন্ডোমের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষিতে আমেরিকা ও পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার উপর হরেক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বড় পতন হয়েছে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের দামে। এই অবস্থায় মস্কোর আকাশে আশঙ্কার কালো মেঘ কন্ডোমকে ঘিরে। দাম গিয়ে ঠেকতে পারে সাধ্যের বাইরে, বন্ধ হয়ে যেতে পারে সরবরাহ, এই আশঙ্কায় রাশিয়ার আমজনতা ওষুধ কিংবা যৌন সামগ্রী বিক্রির দোকানে লাইন দিয়ে কন্ডোম সংগ্রহ করছেন।
রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অনলাইন সামগ্রী বিক্রির বিপণী ‘ওয়াইল্ডবেরি’ জানাচ্ছে, মার্চের প্রথম দু’সপ্তাহে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কন্ডোম বিক্রি বেড়েছে ১৭০ শতাংশ। সে দেশের বড় ওষুধ বিপণী ‘থার্টি সিক্স পয়েন্ট সিক্স’ জানাচ্ছে তাদের কন্ডোম বিক্রি বেড়ে গিয়েছে ২৬ শতাংশ। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে। মোটের উপর পাইকারি বাজারে কন্ডোমের দাম বেড়েছে ৩২ শতাংশ। রাশিয়ার সুপার মার্কেটগুলিতে কন্ডোমের বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
রাশিয়ার অন্যতম বড় যৌনসামগ্রী বিক্রির দোকান ‘প্রেসারভেটিভনায়া সেক্স শপ’-এর মালিক ইয়েসেনিয়া শামোনিনা বলেন, ‘‘মানুষ সম্ভবত ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাড়তি কন্ডোম কিনে রাখছেন। আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু তাতেও বিক্রিতে কোনও প্রভাব পড়ছে না।’’
পরিস্থিতি এমনই যে মুখ খুলতে হয়েছে পুতিনের বাণিজ্য মন্ত্রককে। তারা স্বীকার করে নিয়েছে, দেশে যে কন্ডোমের চাহিদা এত বেড়ে যাবে তা তাঁদের কাছেও অপ্রত্যাশিত ছিল। পাশাপাশি মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম কন্ডোম উৎপাদক দেশগুলি যেমন তাইল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিন, আগের মতোই রাশিয়ায় কন্ডোম সরবরাহ করে যাচ্ছে। ফলে আপাতত ঘাটতির কোনও কারণ নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা!