২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা করেন। তার পর থেকেই আমেরিকা ও পশ্চিমী দেশগুলো রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নেটো খড়্গহস্ত হয় রাশিয়ার উপর। কোয়াডও নানা ভাবে রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি করে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মতে, এই তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রম ভারত।
ফাইল ছবি।
আমেরিকা আছে আমেরিকাতেই। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে কেন আমেরিকার নির্দেশিত পথে ভারতও চলেনি, তা নিয়ে কটাক্ষ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্য কোয়াড সদস্যদের প্রশংসা করলেও ভারত নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ভারতের অবস্থান নড়বড়ে।’’
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা করেন। তার পর থেকেই আমেরিকা ও পশ্চিমী দেশগুলো রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নেটো খড়্গহস্ত হয় রাশিয়ার উপর। কোয়াডও নানা ভাবে রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি করে। বাইডেনের মতে, এই তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রম ভারত।
আমেরিকা ও তার বন্ধু রাষ্ট্ররা রাশিয়ার তেলে আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, ভারতের তেল সংস্থাগুলো এখনও রাশিয়া থেকে কাঁচা তেল আমদানি জারি রেখেছে। শোনা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বে অবরোধের মুখে পড়ায় অপেক্ষাকৃত কম দামে মস্কো থেকে তেল পাচ্ছে দিল্লি। তার উপর রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। যা মোটেও খুশি করতে পারছে না আমেরিকাকে।
ওয়াশিংটনে আমেরিকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন বলেন, ‘‘কোয়াড সদস্যদের মধ্যে একমাত্র ভারতের অবস্থানই নড়বড়ে। জাপানের অবস্থান অত্যন্ত কড়া। একই ভাবে পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াও খুব কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।’’
সাধারণত ভারতকে প্রয়োজনের ৮৫ শতাংশ কাঁচা তেলই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এই বিপুল পরিমাণ কাঁচা তেলের মাত্র ১ শতাংশ আছে রাশিয়া থেকে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাশিয়ার কাছে পশ্চিমের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ভর্তুকিযুক্ত দামে মস্কো থেকে তেল আমদানি করতে সক্ষম হচ্ছে ভারত।
নয়াদিল্লির বহু পুরনো বন্ধুত্ব মস্কোর সঙ্গে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের পক্ষে সওয়াল করলেও সরাসরি রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত। তেমনই এই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিন্দাপ্রস্তাবেও ভোটদানে বিরত থেকেছে। ভারতের এই অবস্থান পছন্দ হয়নি আমেরিকার।