বেলারুশের পদক্ষেপ অনেকটাই সাবধানী। ফাইল চিত্র ।
কিভ-মস্কো সঙ্ঘাতের আবহে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কি সরাসরি যুদ্ধে নামতে পারে বেলারুশ! এমন জল্পনার কথাই জানা গিয়েছে একটি সূত্র অনুযায়ী। ইউক্রেনে সরাসরি আঘাত হানার উদ্দেশে বেলারুশের তরফে ইউক্রেন সীমান্তে বিশেষ সশস্ত্র বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলেও সেই সূত্রটির দাবি। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের উপর ক্রেমলিনের আগ্রাসনের শুরু থেকেই রাশিয়াকে় সমর্থন জানিয়েছে বেলারুশ। সে কারণেই বেলারুশ বিশেষ সশস্ত্র বাহিনী পাঠানোয় সরাসরি সঙ্ঘাতের জল্পনা আরও বেড়েছে।
তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সরাসরি সঙ্ঘাতে নামার কথা কার্যত অস্বীকারই করেছে বেলারুশ সরকার। বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফ ভিক্টর গুলেভিচ জানিয়েছেন, দু’দেশের সঙ্ঘাতের মাঝখানে আমেরিকা এবং নেটো দেশগুলি ইউক্রেনের সীমান্তে তাদের সামরিক বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। তাতে লাগাম টানতেই বেলারুশ সরকার ইউক্রেন সীমান্তে বিশেষ সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করছে। ওই পদক্ষেপ অনেকটাই সাবধানী হওয়ার জন্য। সরাসরি আক্রমণ বা সঙ্ঘাতের উদ্দেশ্যে নয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বেলারুশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তের দক্ষিণ দিকে থাকা বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও ওই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বেলারুশ সরকারের আরও দাবি, ইউক্রেন সরকার বেলারুশ সীমান্তের কাছে ২০ হাজার সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করেছে। তার প্রতিক্রিয়া জানাতেই পাল্টা সেনা পাঠাচ্ছে বেলারুশ। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সরাসরি সঙ্ঘাতে নামার কোনও ইচ্ছা তাদের নেই। বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভিক্টর ক্রেনিনও একই মন্তব্য করেছেন।