রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দু’দিনের সফরে রাশিয়ায় গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় নৈশভোজ সেরেছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নৈশভোজে পুতিনকে একটি অনুরোধ করেছিলেন মোদী। তাতে সায় দিয়েছেন পুতিন। সেই সঙ্গে তিনি মোদীকে তৃতীয় বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল রাশিয়া। সেই থেকে যুদ্ধ চলছে পূর্ব ইউরোপে। রাশিয়ার ওই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন অনেক ভারতীয় নাগরিকও। কর্মসূত্রে বা অন্য কোনও কারণে যাঁরা রাশিয়ায় থাকেন, তাঁদের অনেকেই যুদ্ধে বাধ্য হয়ে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়তে গিয়ে এখনও পর্যন্ত দু’জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে মস্কোয় নৈশভোজের সময়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মোদী। এর পরেই পুতিন সেনাবাহিনী থেকে ভারতীয়দের ছেড়ে দিতে রাজি হয়ে যান।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে এখনও অনেক ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের সকলকেই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন। এমনকি, মোদীকে তিনি জানিয়েছেন, ওই ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার বন্দোবস্ত করবে তার সরকার।
উচ্চ বেতনের চাকরির আশায় ভারত থেকে প্রতি বছর বহু মানুষ রাশিয়ায় যান। অভিযোগ, ইউক্রেন-যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ভারতীয়দের অনেককেই রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের। মোদীর সফরের পর এ বার তাঁরা দেশে ফিরতে পারবেন।
রাশিয়া থেকে অস্ট্রিয়া সফরেও যাওয়ার কথা মোদীর। গত ৪১ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ওই দেশে যাচ্ছেন। মোদীর রাশিয়া সফরও দীর্ঘ পাঁচ বছর পর। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার উপর বহু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়া। তবে ভারত প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। তার মাঝে মোদীর এই সফরের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।