পুড়ে ছাই কৃষ্ণ সাগরে রুশ বাহিনীর নৌসেনার ঘাটি। ছবি টুইটার।
সম্প্রতি কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজঘাঁটিতে ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু রুশ নৌ-কর্তার মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের ‘স্পেশাল অপারেশনস ফোর্সেস’ (এসওএফ) একটি বিবৃতি জারি করে নিজেরাই সে কথা জানিয়েছে। এ ধরনের হামলা প্রথম নয়। সাম্প্রতিক কালে রুশ জাহাজ লক্ষ্য করে বহু হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। কখনও আকাশপথে, কখনও সমুদ্র-ড্রোনের সাহায্যে। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন যা যা করছে, সবের পিছনে পশ্চিমি শক্তির হাত রয়েছে। ইউক্রেনকে সাহায্য করার নাম করে মস্কোর বিরুদ্ধে ‘সরাসরি যুদ্ধে’ নেমেছে পশ্চিম।
রাষ্ট্রপুঞ্জে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে লাভরভ বলেন, ‘‘আপনারা চাইলে এর যা ইচ্ছে নাম দিতে পারেন। কিন্তু ওরা আমাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। ওরা সরাসরি আমাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। আমরা একে মিশ্র যুদ্ধ বলি। কিন্তু সেই নাম দিয়ে তো কিছু বদলে যাবে না।’’
আমেরিকা অবশ্য বারবারই বলে এসেছে, তারা ইউক্রেনের পাশে থাকলেও এই যুদ্ধে কোনও দিনই যুক্ত হবে না। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একাধিক বার জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্মুখ সমরে তাঁরা নামবেন না। পরমাণু শক্তিধর দেশটিতে তাঁরা সেনাও পাঠাবেন না। রাশিয়ায় যে সমস্ত হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন, তার থেকে বরাবরই দূরত্ব বজায় রেখেছে আমেরিকা। কিন্তু লাভরভের দাবি, ওয়াশিংটন যুদ্ধে ময়দানে না নামলেও কোটি কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র কিভের হাতে তুলে দিচ্ছে। ব্রিটেনের গোয়েন্দা দফতরও ক্রমাগত সাহায্য করে চলেছে ইউক্রেনকে। পশ্চিমি জোটের যুদ্ধ-উপদেষ্টারাও কাজ করছে ইউক্রেনের সঙ্গে।
লাভরভ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের হাত-পা-শরীর ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু লড়ছে আসলে পশ্চিমই।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে রুশ বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখানে উপস্থিত যাঁরা ইউক্রেন-পরিস্থিতি সম্পর্কে এতটুকু সচেতন, তাঁরা সকলে খুব ভাল করে জানেন, আমেরিকা, ব্রিটেন ও পশ্চিমের আরও কিছু দেশ কী ভাবে ওদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যুদ্ধ করে চলেছে। আরও আরও অস্ত্র তুলে দিচ্ছে ওদের হাতে।’’