— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইউক্রেন সীমান্ত ঘেঁষা রুশ শহর বেলগোরোদ। সীমান্ত থেকে দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। রবিবার বছরের শেষ দিনে এই বেলগোরোদ শহরে বিধ্বংসী হামলা চালাল ইউক্রেন। মস্কো জানিয়েছে, অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’টি শিশুও রয়েছে। ১১১ জন জখম।
প্রায় দু’বছর হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এখনও পর্যন্ত মস্কো অন্তত ১২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে পড়শি দেশে। ৩৬টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাজার হাজার ইউক্রেনীয়ের মৃত্যু হয়েছে। কিভও পাল্টা হামলা চালিয়েছে রাশিয়ায়। কিন্তু তুলনায় খুবই কম। এই প্রথম এত বড় হামলা চালাল তারা। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আকাশপথে এটি সবচেয়ে বড় হামলা তাদের।
বেলগোরোদের গভর্নর ভ্যাচিস্লাভ গ্ল্যাডকোভের দাবি, বসতি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। হামলার সঙ্গে সঙ্গে সাইরেন বাজতে শুরু করে। সকলে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় পালান। তাতেও প্রাণহানি আটকানো যায়নি। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাশিয়ার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ইউনিট ১৩টি ইউক্রেনীয় রকেট ধ্বংস করেছে, ৩২টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। তা না-হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আজ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। তাদের বার্তা, ‘‘এই অপরাধের শাস্তি ওরা পাবেই।’’
রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি চিকিৎসক দল পাঠিয়েছেন বেলগোরোদে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ’-এর অভিযোগ জানিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলির পাল্টা জবাব, রাশিয়াই যুদ্ধ শুরু করেছিল। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত কাল রাতে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটেছে খারকিভ
ও সুমিতে।