ফাইল চিত্র।
ইমরান খান যদি প্রমাণ দিতে পারেন যে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, তা হলে তাঁকে ‘প্রধানমন্ত্রীর থেকেও বেশি নিরাপত্তা’ দেওয়া হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দিকে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বর্তমান শাসক দলের এক শীর্ষ নেত্রী।
গত শনিবার পাক পঞ্জাবের সিয়ালকোটে এক জনসভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ‘‘আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। আমি একটি ভিডিয়ো তৈরি করে ষড়যন্ত্রীদের নাম ফাঁস করে দিয়েছি।’’ সেই প্রসঙ্গ তুলে আজ পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ়ের কন্যা মরিয়ম শরিফ বলেন, ‘‘আমার বাবা অনেক বড় মনের মানুষ। ইমরান খান যদি প্রমাণ দিতে পারেন যে, সত্যিই তাঁকে হত্যা করার ছক কষা হচ্ছে, তা হলে তাঁর এতটাই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে যা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকেও দেওয়া হয় না।’’
নওয়াজ়-কন্যার দাবি, ‘‘পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ যাতে তাঁকে ভুলে না যান, তাই ইমরান সব সময়ে নানা মিথ্যা কথা বলেন। এই ভিডিয়োটাও সে রকম এক মিথ্যাচারণ।’’ মরিয়মের তির্যক মন্তব্য, ‘‘আমি চাই, ইমরান অনেক দিন বাঁচুন। তা হলে উনি দেখতে পাবেন, নতুন সরকারের দৌলতে দেশের কী ভাবে উন্নতি হচ্ছে।’’
শনিবারের মতো গত কালও একটি জনসভায় ইমরান খান অভিযোগ করেন, আমেরিকার মদতেই তাঁকে গদিচ্যুত করেছেন শরিফ-ভুট্টোরা। ইমরানের কথায়, ‘‘আমেরিকা এমন একটি দেশ, যারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। পাকিস্তানের উপরে কোনও হামলা না চালিয়েই আমাদের দেশকে ক্রীতদাস বানিয়ে নিয়েছে তারা।’’ ৬৯ বছর বয়সি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আশা, ‘‘আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ কখনওই এই আমদানি করা সরকারকে মেনে নেবে না।’’ তিনি আরও বলেন ‘‘এ বার (পাক বিদেশমন্ত্রী) বিলাবল ভুট্টো (আমেরিকান বিদেশসচিব) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে হাত জোড় করে বিপুল অনুদান চাইবেন, যাতে আমাকে আটকানোর পথটা আরও মসৃণ হয়।’’ আগামী ১৮ মে নিউ ইয়র্কে আন্তর্জাতিক খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে বিলাবল ভুট্টোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
এ দিকে, করাচি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে কর্মরত চিনা নাগরিকদের উপরে হামলার ঘটনায় সন্ত্রস্ত বেজিং। তাই চিনা নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে তারা। পাকিস্তানে, বিশেষ করে দেশের উত্তর-পশ্চিমে বিভিন্ন চিনা প্রকল্পের কাজ চলছে। যারা পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ম্যান্ডারিন ভাষার অনেক শিক্ষকও রয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ম্যান্ডারিন ভাষা বিভাগের প্রধান-সহ তিন শিক্ষক নিহত হন।