গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বর্ণবৈষম্যের যুগ শেষ করার তিন দশক পরে সেই আন্দোলনের অগ্রণী দলের একাধিপত্যের অবসান হল দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে। এই প্রথম বার মহাত্মা গান্ধীর ‘কর্মভূমি’তে সাধারণ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আইনসভায় (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)।
ভোটগণনার ফল জানাচ্ছে, এ বারের ভোটে এএনসি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ফলে আনুপাতিক হিসাবে ৪০০ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তারা গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২০১টি আসন পাচ্ছে না। ক্ষমতায় ফিরতে হলে জোট সরকারে যেতে হবে ওই দলকে। অন্য দিকে, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) পেয়েছে ২১ শতাংশ ভোট।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা দলত্যাগী এএনসি নেতা জ্যাকব জুমার এমকেপি-কে সমর্থন করেছেন ১৪ শতাংশ ভোটার। ২০১৯ সালের নির্বাচনে এএনসি পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ ভোট। জিতেছিল ২৩০টি আসনে। এ বার বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার দল এএনসিকে সরকার গড়তে হবে জুমা বা ১০ শতাংশ ভোট পাওয়া ‘ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্স’ (ইএফএফ)-এর সঙ্গে জোট গড়তে হতে পারে।
বর্ণবিদ্বেষী ঔপনিবেশিক শ্বেতাঙ্গ শাসনের ইতি টেনে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করার পর ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছিল ম্যান্ডেলার দল এএনসি। প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ম্যান্ডেলা। তার পর থেকে গত ৩০ বছর ধরে দলটি দেশ শাসন করে যাচ্ছে। যদিও প্রতি বারই এএনসির ভোট কমেছে। এ বার বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেলেও এএনসির একদলীয় শাসন শেষ হতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।