(বাঁ দিকে) পেমা খান্ডু। প্রেম সিংহ তামাং (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি বিধানসভা আসনের ১০টিতে জিতে গিয়েছিল বিজেপি। রবিবার ভোটগণনার প্রবণতা বলছে, মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর নেতৃত্বে আবার তারা সেই রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য সিকিমে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং ওরফে পিএস গোলের দল সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা (এসকেএম)।
অরুণাচলে যে ৫০টি আসনে ভোট হয়েছিল তার মধ্যে ৩৭টিতেই এগিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি। পাঁচটিতে মেঘালয়ের শাসকদল এনপিপি। বাকি ছ’টিতে নির্দল এবং অন্যেরা। এক দশক আগের শাসকদল কংগ্রেসের ঝুলিতে শূন্য। অন্য দিকে, সিকিমের ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টিতে এগিয়ে সে রাজ্যের শাসকদল এসকেএম। একটিতে বিরোধী দল এসডিএফ।
গত ১৯ এপ্রিল ৬০টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট অরুণাচল এবং ৩২ আসনবিশিষ্ট সিকিমে ভোট হয়েছিল এক দফায়। তার সঙ্গেই অরুণাচলে লোকসভার ২টি আসনে এবং সিকিমের একমাত্র কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। রবিবার শুধুমাত্র বিধানসভা ভোটের গণনা হল। অরুণাচল এবং সিকিমে লোকসভা ভোটের গণনা হবে আগামী মঙ্গলবার (৪ জুন) দেশের বাকি অংশের সঙ্গেই। প্রসঙ্গত, অরুণাচল এবং সিকিমের পাশাপাশি সারা দেশে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশাতেও। ওই দুই রাজ্যে গণনা হবে ৪ মে।
২০১৪-র বিধানসভা ভোটে জিতে অরুণাচলে কংগ্রেস সরকার গঠন করলেও পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯-এর ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল পদ্মশিবির। এ বার কংগ্রেস, এনপিপির মতো বিরোধী দলগুলি থাকলেও সেখানে বিজেপির ক্ষমতা পুনর্দখল কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে সিকিমে ২৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিংয়ের দল সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন এসকেএম প্রধান গোলে। বিধানসভা ভোটে আলাদা লড়লেও এসকেএম বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (নেডা)-র সদস্য।