প্রতীকী ছবি।
যুক্তরাষ্ট্রীয় অভিবাসন আধিকারিক যখন তাঁর হাতে আমেরিকা ছাড়ার নোটিসটি ধরিয়ে দিলেন, তখন কী করবেন, কী ভাবে করবেন ভেবেও উঠতে পারেননি ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা বছর চল্লিশের রোজা গুতারেজ লোপেজ়। তিন সন্তানকে একা মানুষ করেছেন রোজা। আমেরিকাতেই জন্ম তাদের। মেয়েটির বয়স ১১। দুই ছেলের বয়স ৬ এবং ৯। তার মধ্যে সব চেয়ে ছোটটি ডাউন সিন্ড্রোমের শিকার।
টেক্সাস আদালতে তাঁর প্রত্যর্পণ আদেশে স্থগিতাদেশের দাবিতে মামলা লড়ছিলেন রোজার আইনজীবী। তবু মিলল না রেহাই। হাতে এসে গেল দেশ ছাড়ার নোটিস। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ছাড়তে হবে আমেরিকা। উড়ানের টিকিটও কেটে ফেলেছিলেন রোজা। এর আগে কখনও বিমানে চড়েননি। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন। ভয়ে চিন্তায় কোনও মতে বেথেসডার একটি গির্জার ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন রোজা।
আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, এই দফায় ওয়াশিংটনে আশ্রয় নেওয়া প্রথম নথিবিহীন শরণার্থী রোজা। ২০০৫ সালে আমেরিকায় আসেন তিনি। সেডার লেন ক্যাম্পাসের একটি ছোট আবাসনে তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রোজা।
সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে গির্জার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত রোজার পাশে থাকবেন তাঁরা। পাশাপাশি, ট্রাম্পের এই মার্কিন অভিবাসন নীতির বিরোধিতাও করে যাবেন।
হার মানতে রাজি নন রোজাও। তাঁর কথায়, ‘‘আমি লড়ে যাব। এই মুহূর্তে আমি শক্তিহীন। তবে আমি ঈশ্বরের প্রতি আস্থাশীল।’’