এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রতিবেশীর বাড়ির কাছে রাস্তার ধারে ঘোরাফেরা করছিল পোষ্য কুকুর। তাকে ইট ছুড়ে মারায় প্রতিবাদ করেছিলেন পোষ্যের মালিক, তথ্যপ্রযুক্তির পড়ুয়া এক তরুণ। অভিযোগ, এর পরে আচমকাই সিদ্ধার্থ দাশগুপ্ত নামে ওই তরুণের উপরে কাঠের তক্তা নিয়ে হামলা চালায় সইফুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। সিদ্ধার্থকে বেধড়ক পেটানো হয়। সারা শরীরে একাধিক আঘাত নিয়ে তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের মোহনপুর থানার শিউলি সুকান্তপল্লি এলাকায়। ঘটনার পরেই বাড়ি ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত।
সিদ্ধার্থ এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ির উঠোনেই থাকে কুকুরটি। শৌচকর্মের জন্য রাস্তায় বেরোয়। এ দিনও বেরিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করছিল। কারও বাড়িতে ঢোকেনি। হঠাৎই সইফুদ্দিন ঘর থেকে বেরিয়ে ওকে আক্রমণ করে। মারতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারতে শুরু করে পেরেক লাগানো তক্তা দিয়ে। সারা শরীর কেটে যায়। অসহ্য যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়ি। লোকজন জড়ো হতেই সইফুদ্দিন পালিয়ে যায়।’’
সইফুদ্দিনের এক আত্মীয় শেখ বাপি বলেন, ‘‘এর আগেও সইফুদ্দিন দা দিয়ে একটি পথকুকুরের কান কেটে দিয়েছিল। কুকুরটি মারা যায়। বাড়িতে হুকিং করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে। প্রচণ্ড একগুঁয়ে, কারও কথা শোনে না। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’’ স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান, এলাকায় জমি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ছোট ছোট প্লট করে জমি বিক্রি হওয়ার পরে বহিরাগত অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। যাঁদের পরিচয় জানেন না প্রতিবেশীরাই। অনেকেই হুকিং করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে আলো জ্বালছেন বলে অভিযোগ। সেখানে কারা থাকছেন, সেই তথ্য প্রশাসনের কাছে থাকা উচিত বলে দাবি করেন স্থানীয় লোকজন।
ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।’’