দড়ি বেয়ে নদীখাতে নেমে দেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। ছবি : টুইটার থেকে।
সাড়ে ছ’শো ফুট গভীর নদীখাত। সেই নদীখাতও ঢেকেছে ঘন কুয়াশার চাদরে। দৃশ্যমানতা একেই কম, তার উপর সূর্যের আলোও সে ভাবে না পৌঁছনোয় উদ্ধারকারীরা হাতড়ে বেড়াচ্ছেন পশ্চিম নেপালের পোখরার সেতি নদীর তীর। যেখানে রবিবার সকালে বিমানকর্মী-সহ ৭২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়েছে নেপালের বিমান। বিমানের ৭০ জনের খোঁজ পাওয়া গেলেও এখনও দু’জন যাত্রী নিখোঁজ। মঙ্গলবার ওই শেষ দুই যাত্রীর খোঁজেই ঘটনাস্থলে ড্রোন নামিয়ে তল্লাশি শুরু করল উদ্ধারকারী দল।
রবিবারই ভেঙে পড়েছে নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২ বিমান। ৭২ আসনের এই বিমানটি টার্বো প্রপেলার ইঞ্জিন বিশিষ্ট। কাঠমান্ডু থেকে উড়ে পোখরায় এসে নামার কয়েক মুহূর্ত আগেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। ঝকঝকে আবহাওয়ার মধ্যেই ঘটে ওই দুর্ঘটনা। বিমানযাত্রীদের মধ্যে ৫ ভারতীয়-সহ ছিলেন ১৫ জন বিদেশি। ৬ জন শিশুও ছিল ওই বিমানে। মঙ্গলবার উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত শিশুদের দেহ সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের দেহ খুঁজে পেতে সমস্যা হতে পারে।
ইতিমধ্যে দড়ি দিয়ে নদীখাতে নেমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে সোমবার আরও দুই যাত্রীর দেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। তবে আবহাওয়ার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাই ড্রোন নামিয়ে শেষ দুই নিখোঁজ যাত্রীর তল্লাশি শুরু হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ৭০ জন যাত্রীর দেহ সনাক্তকরণের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নেপালের প্রশাসন। উদ্ধার হওয়া দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে। নেপালের স্থানীয় টিভি চ্যানেলের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত আত্মীয়রা ভেঙে পড়েছেন কান্নায়।