ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি।
রক্ষা পেলেও স্বস্তি পেলেন কই! তাঁর রাজনৈতিক লড়াইয়ের এই তো সবে শুরু— প্রয়োজনের চেয়ে ১০টি ভোট কম পাওয়ায় সেনেটে ইমপিচমেন্টের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সম্প্রতি আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দর্পের সঙ্গে এই কথা বললেও বাস্তব বলছে অন্য কথা। দেখা যাচ্ছে, রাজনীতির ময়দানে ট্রাম্প আর লড়ুন, দেশবাসীদের বড় অংশের পাশাপাশি আর চাইছেন না তার দলেরই একাংশ!
বিভিন্ন ঘটনার জেরে যে ইদানীং দলের অন্দরেও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা মুখ থুবড়ে পড়েছে, তা আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না বলেই মত রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের। সেনেটে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পকে ইমপিচ করার পক্ষে দলেরই সাত জন সদস্যের ভোট পড়া এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ, দাবি তাদের। ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে সেনেটের ১০০ জন সদস্যের মধ্যে প্রয়োজন ছিল দুই তৃতীয়াংশের সমর্থনের। অর্থাৎ কমপক্ষে ৬৭জন সেনেটরের ভোট ট্রাম্পের বিপক্ষে গেলে সেই রাস্তা খুলে যেত। যদিও গত শনিবার ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে ভোট পড়ে ৫৭টি। আর এই ১০টি ভোট কম পাওয়ায় ইমপিচমেন্ট থেকে একটুর জন্য রক্ষা পেয়ে যান তিনি। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যে ৫৭টি ভোট ট্রাম্পের বিপক্ষে যায়, সেই তালিকায় রয়েছেন ট্রাম্পের দল, রিপাবলিকান পার্টির সাত জন সেনেটরও!
এই ‘সাহসী’ পদক্ষেপের জন্য দলের অন্দরে সমালোচিত হলেও মুখ বন্ধ রাখেননি এই সাত জন। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন মাধ্যমে সরাসরি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদেরই একজন, লুইজ়িয়ানার সেনেটর বিল ক্যাসিডি সরাসরি জানালেন, রিপাবলিকানরা আর ট্রাম্পের নেতৃত্ব চান না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমার মতে দলে দখল হারাচ্ছেন ট্রাম্প... আগামী দিনে আমাদের নেতৃত্বে বদল আসবে বলেই মনে করছি।’’