—ফাইল চিত্র।
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে উভয় পক্ষই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে। গত ৬ জুন দু’দেশের মধ্যে সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে যে ‘ইতিবাচক ঐক্যমত্য’-এ পৌঁছনো সম্ভব হয়েছিল, তারই ভিত্তিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার চিনের তরফে এমনটাই জানানো হল।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, ‘‘সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি দু’দেশের কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। তাতেই ঐক্যমত্যে পৌঁছয় দু’পক্ষ। সেই মতো পদক্ষেপ করা হচ্ছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়।’’ তবে এলএসি এবং গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
গতকাল ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, পূর্ব লাদাখের কিছু অংশে ভারত এবং চিন সেনা সরানোর কাজ শুরু করেছে। তার পরদিনই চিনা বিদেশ দফতরের তরফে এই মন্তব্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ, মহা-শঙ্কায় দিল্লি
লাদাখ সীমান্তে চিন ও ভারতীয় সেনার মধ্যে গত একমাস ধরে সঙ্ঘাতের আবহ চলছে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি উদ্যোগী হয় দুই পক্ষই। সেনা সূত্রে জানা যায়, এলএসি বরাবর সেনা সমাবেশ কমিয়ে আনতে শুরু করেছে দুই দেশই। গালওয়ান উপত্যকা এবং আশেপাশের এলাকা থেকেও বাহিনী প্রত্যাহার করা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বার ফিরতে পারে হাম, পোলিও, রুবেলার মহামারি, বিপন্ন আট কোটি শিশু, হুঁশিয়ারি হু, ইউনিসেফের
সীমান্ত চুক্তি অগ্রাহ্য করে ভারতের এলাকায় ঢুকে পড়া নিয়ে গত ৫ জুন চিনা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি বাঁধে ভারতীয় জওয়ানদের। সেই নিয়ে গত এক মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ৬ জুন দুই দেশের সামরিক স্তরে কথাবার্তা হয়। ২০১৮-য় উহান সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী এলএসি-তে শান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয় দু’পক্ষই।