রাজকুমার হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগানের বিষয়টি তিন দিনের মধ্যে সারতে চান রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ।
রাজবাড়ির কর্মচারীদের জরুরি তলব পাঠিয়েছেন খোদ রানি। দিনরাত এক করে সেই কর্মীরা তাই এখন নীল-নকশা বানাতে ব্যস্ত। নকশা মূলত বিপুল সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ নিয়ে। ব্রিটেনের প্রয়াত যুবরানি ডায়ানার ছোট ছেলে, রাজকুমার হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগানের বিষয়টি নাকি তিন দিনের মধ্যে সারতে চান রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। এক রাজপরিবার ঘনিষ্ঠকে উদ্ধৃত করে আজ এই দাবি করেছে একটি প্রথম সারির ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড।
গত বুধবার হঠাৎই রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যের খেতাব ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স। রাজপরিবারের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে সাধারণ মানুষের মতো আয় করার কথা জানান তাঁরা। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হ্যারির যে সম্পত্তি রয়েছে, তা নিয়েই এখন হিসেবনিকেশ শুরু হয়েছে রাজবাড়িতে। মূলত সম্পত্তি নিয়ে কথা বলতেই হ্যারি এখনও ব্রিটেনে রয়ে গিয়েছেন বলে দাবি ট্যাবলয়েডটির।
নাতির এই সিদ্ধান্তে যে রানি খুশি নন, তা জানিয়েছেন রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী। তবে হ্যারি ও মেগানের ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক আবার দাবি করেছেন, রাজপরিবারের চাপেই এই খেতাব ত্যাগ করতে বাধ্য হন হ্যারিরা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনি বলেন, ‘‘হ্যারি-মেগানের এই সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক।’’ রানির জন্য তাঁর কষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কানাডা ফিরে গেলেন মেগান, রইলেন হ্যারি
এরই মধ্যে ডিজ়নির একটি কাজে সম্প্রতি গলা দিয়েছেন মেগান। সেখান থেকে আসা অর্থ মূলত হাতিদের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে খবর। তবে মেগান যে অভিনয় জগতেই আবার ফিরছেন, এই খবর থেকে তারই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করেছেন অনেকে।