Qandeel Baloch

পাকিস্তানি মডেল কান্দিল খুনে যাবজ্জীবন ভাইয়ের

পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজ বা পরিবারের মধ্যে থেকেও খুবই খোলামেলা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন বিবাহ বিচ্ছিন্না কান্দিল বালোচ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুলতান শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:২৪
Share:

কান্দিল বালোচ। —ফাইল চিত্র।

তিন বছর আগে নিজের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন বিতর্কিত পাকিস্তানি মডেল তথা সোশ্যাল মিডিয়া তারকা কান্দিল বালোচ। সেই মামলায় সাজা শোনাল শুক্রবার মুলতানের একটি আদালত। কান্দিল বালোচের ভাই মহম্মদ ওয়াসিমকে ওই আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।

Advertisement

শুরুতে কান্দিল খুনে সে দেশের প্রথম সারির ধর্মগুরু মুফতি আবদুল কাভির নাম জড়িয়েছিল। এমনকি তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। কিন্তু এ দিন তাঁকে বেকসুর খালাস করে মুলতানের ওই আদালত। রেহাই পেয়েছে কান্দিলের আর এক ভাই আসলাম শাহিনও। এ ছাড়াও হক নওয়াজ, আবদুল বসিত এবং মহম্মদ জাফর হুসেন-সহ মোট ছ’জনকে মুক্তি দেয় আদালত।

কান্দিলের আর এক ভাই আরিফ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাকে ফেরার ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: শিশুমৃত্যু-কাণ্ডে ‘নির্দোষ’ কাফিল খান, যোগী সরকারকে ক্ষমা চাইতে বললেন চিকিৎসক​

কয়েক বছর আগে, রমজান চলাকালীন করাচির এক হোটেলের ঘরে তোলা কান্দিল বালোচ এবং মুফতি আবদুল কাভির ছবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। মেয়ের মৃত্যুতে তাঁর হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন কান্দিলের বাবা। তার জেরেই পুলিশের সন্দেহ তালিকায় আবদুল কাভির নাম উঠে আসে। এর পর বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এ দিন তিনি রেহাই পাওয়ায় আদালতের বাইরে উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁর সমর্থকরা। গোলাপের পাপড়ি ছুড়ে তাঁকে আদালতের বাইরে অভিনন্দনও জানানো হয়।

আদালত রায় ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সরকারি আইনজীবী। তিনি জানান, ইচ্ছাকৃত ভাবে কান্দিলকে খুন করা হয়েছিল। ডিএনএ পরীক্ষায় মহম্মদ ওয়াসিমের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। নিজেমুখেও অপরাধ স্বীকার করেছে সে। মুলতানের সেন্ট্রাল জেলে রাখা হবে তাকে। আদালতের রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ওয়াসিমের আইনজীবী সর্দার মেহমুদ। তবে উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজ বা পরিবারের মধ্যে থেকেও খুবই খোলামেলা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন বিবাহ বিচ্ছিন্না কান্দিল বালোচ। তাঁর আসল নাম ফৌজিয়া আমিন। যৌনতা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি আলোচনা করতেন তিনি। তার জন্য একাধিক বার বিতর্কে জড়ালেও, নিজের শর্তেই বাঁচতে চেয়েছিলেন কান্দিল। বরং বিষয়টিকে রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে লড়াই বলে দেখাতে চেয়েছেন কান্দিল।

আরও পড়ুন: আজ না গিয়ে সময় চাইলেন মুকুল, মির্জাকে সামনে রেখেই জেরা করতে চায় সিবিআই​

এই খোলামেলা জীবন-যাপনই কান্দিলকে নেট দুনিয়ায় জনপ্রিয় করে তুলেছিল। ‘পাকিস্তানের কিম কার্দাশিয়ান’ হিসাবে পরিচিতি তৈরি হয়েছিল তাঁর। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই মুলতানের বাড়ি উদ্ধার হয় বিতর্কিত পাক মডেল কান্দিল বালোচের মৃতদেহ। ঘুমের মধ্যে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। তদন্তে নামে ১৬ জুলাই ওয়াসিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অপরাধ স্বীকার করে সে। পরিবারের সম্মান বাঁচাতেই বোনকে খুন করেছে এবং তার জন্য বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয় বলে জানায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement