Donald Trump Assassination Attempt

ব্যাগ নিষিদ্ধ, প্রায় দু’ঘণ্টার তল্লাশি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল ট্রাম্পের সভায়? তা-ও কী ভাবে হামলা?

ট্রাম্পের সভায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সেখানে ব্যাগ নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। তল্লাশি প্রক্রিয়া চলেছিল অন্তত দু’ঘণ্টা ধরে। তা-ও কী ভাবে নিরাপত্তার ফাঁক গলে গুলি চলল, প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৬:০০
Share:

পেনসিলভেনিয়ার মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।

পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভায় বন্দুকবাজের হামলার ঘটনার পর সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কী ভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের এড়িয়ে ট্রাম্পের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন হামলাকারী, প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’কে জানিয়েছেন, আদৌ ট্রাম্পের সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঘু ছিল না। কারণ তাঁদের ওই সভায় ঢোকার জন্য অন্তত দু’ঘণ্টার তল্লাশি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। সামান্য ব্যাগটুকুও সঙ্গে নেওয়া নিষিদ্ধ ছিল।

Advertisement

৫১ বছরের ওই প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা পেশায় শিক্ষিকা। তিনি এক জন পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ট্রাম্পের ভাষণ শুনতে গিয়েছিলেন। মহিলা জানিয়েছেন, ব্যাগ বাড়িতেই রেখে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ ট্রাম্পের ওই সভায় টাকার ব্যাগও নিষিদ্ধ ছিল। মহিলা সংবাদমাধ্যমে আরও জানান, তিনি সাধারণত কোথাও বেরোলে আত্মরক্ষার্থে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি ছুরি সঙ্গে রাখেন। ট্রাম্পের সভায় তেমন কিছু সঙ্গে রাখা যাবে না বলে জানতেন তিনি। তাই ব্যাগ নিয়ে যাননি।

প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, সভায় যথেষ্ট ভিড় হয়েছিল। তিনি মনে মনে আশ্বস্ত বোধ করছিলেন এই ভেবে যে, কেউ সেখানে অস্ত্র নিয়ে আসতে পারেননি। ভিড়ের চাপে সেই অস্ত্র থেকে অঘটন ঘটতে পারত। এসব ভাবনার মাঝেই আচমকা গুলির শব্দ পান তিনি। বলেন, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে সকলে মাথা নিচু করে বসে পড়েন। আমরাও বসে পড়ি। সকলে সকলের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। মনে হয়, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও গলদ ছিল।’’

Advertisement

পেনসিলভেনিয়ায় শনিবার ট্রাম্পের সভায় যিনি গুলি চালিয়েছিলেন, সিক্রেট সার্ভিস টিম সেখানেই তাঁকে গুলি করে মেরে দেয়। গুলির লড়াইয়ে সভায় উপস্থিত ট্রাম্পের এক সমর্থকও মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। দলমত নির্বিশেষে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন আমেরিকার রাজনীতিবিদেরা। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, এই ধরনের হিংসার কোনও জায়গা নেই আমেরিকায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement