Donald Trump

ঘুষেই শাস্তি মকুব! তদন্ত আমেরিকায়

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রেসিডেন্টের ক্ষমা আদায়েও উৎকোচ! অগস্ট থেকেই এমন গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে জলঘোলা চলছিল আমেরিকায়। মঙ্গলবার এ নিয়ে তদন্তও শুরু করে দিল আমেরিকান বিচার বিভাগ। সরাসরি তাঁর নাম না এলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে আবারও বিপাকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

গত কাল এই তদন্ত শুরুর অনুমতি দিতে গিয়ে ডিস্ট্রিক্ট জাজ বেরিল হাওয়েল ১৮ পাতার একটি নির্দেশিকা-নথিও পেশ করেছেন। তবে এর যে-সংস্করণটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রায় কিছুই পড়া যায় না। অভিযুক্তের নাম কিংবা অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য সবই ঢেকে রাখা। তবু ঘুরেফিরে নিশানায় ট্রাম্পই। সম্প্রতি নিজের বিশেষ ক্ষমতাবলে দেশের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৬-র ভোটে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে এফবিআই-এর কাছে মিথ্যে সাক্ষ্য দেওয়ার দায়ে যাঁকে বরাখাস্ত করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। একটি সংবাদ সংস্থার দাবি, হাওয়েলের নথিতে এই বিষয়টিকে ‘ঘুষের বিনিময়ে ক্ষমা আদায়’ বলেই বর্ণনা করা হয়েছে। আমেরিকান সংবিধান অনুযায়ী, ফেডারেল আইনে দোষী সাব্যস্তদের ক্ষমা বা শাস্তি মকুবের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে প্রেসিডেন্টের হাতে। কিন্তু অভিযোগ, ট্রাম্প আমলে কিছু ক্ষেত্রে এর যথেচ্ছ অপব্যবহার হয়েছে। ট্রাম্প অবশ্য গোটা ব্যাপারটাই ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো বলে সরব হয়েছেন টুইটারে।

ভোটে হারলেও হোয়াইট হাউস ছাড়তে নারাজ ট্রাম্প। এ দিকে একের পর এক মামলায় ‘ভোট চুরি’ নিয়ে তাঁর অভিযোগ খারিজ হয়ে যাচ্ছে আদালতে। এরই মধ্যে নয়া সঙ্কট— ঘুষের বিনিময়ে দণ্ড মকুবের অভিযোগ। ক্ষমাপ্রার্থীরা নাকি ভোটপ্রচারে অর্থ ঢালার পাশাপাশি ট্রাম্পকে আরও নানা ভাবে ‘রাজনৈতিক সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন! সূত্রের খবর, হোয়াইট হাউসের হয়ে এই লেনদেনের ব্যাপারটা দেখতেন দু’জন। বিচার বিভাগ জানিয়েছে, আপাতত তদন্তের স্বার্থে তারা তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে। তবে সরাসরি কোনও কর্মকর্তাকে নিশানা করা তাঁদের অভিপ্রায় নয় বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement