প্রীতি পটেল। ছবি রয়টার্স।
ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লিজ ট্রাস নির্বাচিত হওয়ার পরই স্বরাষ্ট্র সচিবের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি পটেল। নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভাতেও না থাকার কথা জানিয়েছেন প্রীতি।
সোমবার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পাঠানো চিঠিতে প্রীতি লিখেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে লিজ ট্রাস দায়িত্বভার গ্রহণ করলে ও নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব নিয়োগ করা হলে আমি পিছনের সারিতে থেকে দেশ সেবা ও উইথাম কেন্দ্রের জন্য কাজ করে যাব।’
ব্রিটেনের ভাবী প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রীতি। লিজকে সমর্থন জানানোর কথা বলেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব সামলে তিনি যে সম্মানিত সে কথাও তুলে ধরেছেন প্রীতি। তিনি লিখেছেন, ‘দেশকে রক্ষা করা, অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কার করার কাজ করে আমি গর্বিত।’ বরিসের উদ্দেশে তিনি এও লিখেছেন, ‘আপনার নেতৃত্বে দেশ সেবার কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার কাছে বিরাট সম্মানের। আপনার নেতৃত্ব ছাড়া দেশকে সুরক্ষিত করা, আইন কঠোর করা ও আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করা সম্ভব হত না।’ এই প্রসঙ্গে ‘ব্রেক্সিটে’র প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন তিনি। প্রীতি লিখেছেন, ‘ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার জন্য আপনি (বরিস) সুস্পষ্ট পরিকল্পনা করেছিলেন। সংসদে অচলাবস্থা দূর করেছেন। ২০১৯ সালে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছেন। মার্গারেট থ্যাচারের পর সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছে কোনও একটা রাজনৈতিক দল।’
প্রসঙ্গত, সোমবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনককে হারিয়ে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস। ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন তিনি। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে লিজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। ঋষি পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯টি ভোট। সে দেশের শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির ১ লক্ষ ৬০ হাজার সদস্য ভোট দিয়ে ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ লিজকে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি হিসাবে।