প্রথমে স্থির ছিল শুধু মলদ্বীপেই সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেই সফরসূচিতে যোগ হয়েছে শ্রীলঙ্কা। কাল কলম্বোয় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী যে বৈঠকটি করবেন, তাতে দাক্ষিণাত্যের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সর্বাধিক গুরুত্ব পেতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কায় মুসলিম চরমপন্থীদের সন্ত্রাসের পথ থেকে সরাতে দু’দেশের যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি নিয়ে সে দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন মোদী। কারণ ভারতের স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িয়ে। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, শ্রীলঙ্কায় যে আইএস মডিউলগুলির সক্রিয়তা বাড়ছে, তার জাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দিকেও ছড়াচ্ছে। তামিলনাড়ু এবং কেরলের কিছু চরমপন্থী অংশের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে। তদন্তে প্রকাশ, ওই দ্বীপরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের পিছনে প্রধান মস্তিষ্ক মুসলিম ধর্মপ্রচারক জাহরান হাসিম ইতিমধ্যেই ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলির কিছু যুবককে চরমপন্থায় দীক্ষিত করেছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ প্রধান যোগেশচন্দ্র মোদী গত কালই শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরলের এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। সে বলেছে কেরলে আত্মঘাতী হানার পরিকল্পনা করা হয় এবং তার কলকাঠি নাড়া হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার আইএস মডিউল থেকে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ তামিলনাড়ুতে যে গোপন আইএস সেল রয়েছে তার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার হাসিমের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। শ্রীলঙ্কায় নাশকতার পর কেরলের উপকূল