নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
বাংলাদেশি হাই কমিশনমার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলিকে বিদায় জানালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেখ হাসিনার ‘যোগ্য নেতৃত্বের’ প্রশংসা করে মোদী বলেন, বাংলাদেশ সমস্ত ক্ষেত্রেই চোখে পড়ার মতো উন্নতি করেছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে, তখন মোদীর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাশ হওয়ার পর ভারত সফর বাতিল করেছেন হাসিনা সরকারের বিদেশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক শিবিরে এতটাই বিতর্ক তৈরি হয় যে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে সাংবাদিক সম্মেলন করে বার বার দু’দেশের ‘সোনালি অধ্যায়ের’ কথা মনে করিয়ে দিতে হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, যে অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বলয়ের মধ্যে এক মাত্র ঢাকাই গত এক দশক ধরে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে নয়াদিল্লির পাশে রয়েছে। পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশীর সঙ্গে যুঝতে হলে ঢাকাকে পাশে রাখা যে কতটা প্রয়োজন, এটা মনমোহেন সরকারের মতো বর্তমান সরকারও জানে।
কিন্তু সংসদের দুই কক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম একই বন্ধনীতে রেখে উল্লেখ করার বিষয়টিতে চূড়ান্ত হতাশ ঢাকা— এমনটাই জানাচ্ছে সূত্র। আজ তাই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ক্ষত কিছুটা মেরামতির জন্যই কি না, প্রশ্ন উঠছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ মুয়াজ্জেম আলিকে বলেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের অনুষ্ঠানে হাসিনা তাঁকে আমন্ত্রণ করায় তিনি খুশি। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন– এ কথাও আজ বলেছেন মোদী। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করে কালই দেশে ফিরছেন আলি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মুহাম্মদ ইমরান।