প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দাম কমার লক্ষণ তো নেই-ই, বরং দিন দিন দাম বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। আর ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে পাকিস্তানের আমজনতার। আর্থিক সঙ্কট সামাল দিতে একেই টালমাটাল অবস্থা তাদের, তার মধ্যে খাদ্যসঙ্কট এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় হাহাকার দেখা দিয়েছে গোটা পাকিস্তানে।
পাকিস্তানে আমজনতাকে এক লিটার দুধ কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকায় (পাক মুদ্রা)। সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকায় অনেকেই দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। শুধু দুধই নয়, চালের দামও নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে ওই দেশে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়!
এআরওয়াই নিউজ়-এর প্রতিবেদন বলছে, দেশের দুগ্ধ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি দাম বৃদ্ধির দাবি তুলছিলেন অনেক দিন ধরেই। তাদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছে সরকার। প্রতি লিটারে ১০ টাকা করে বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার জেরে দুধের দাম প্রতি লিটার ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একেই আকাশছোঁয়া দামে হিমশিম খাচ্ছে আমজনতা, তার মধ্যে আবারও দাম বৃদ্ধিতে অনুমোদন দেওয়ায় দেশ জুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে। পাক নাগরিকদের দাবি, এ ভাবে দাম বাড়তে থাকলে, এ বার না খেয়েই মরতে হবে। যদিও সরকারের দাবি, দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার অনেকটাই কমেছে। এপ্রিলে এই হার কমে হয়েছে ১৭.৩ শতাংশ। সরকার এই দাবি করলেও মূল্যবৃদ্ধির কারণে যে গোটা দেশে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আমজনতা।
২০২৩ সালে মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছেছিল ৩৮ শতাংশে। সরকারি তথ্য বলছে, এক বছরের মধ্যে টমেটোর দাম বেড়েছিল ১৮৮ শতাংশ, পেঁয়াজ ৮৪ শতাংশ, মশলা ৪৯ শতাংশ, চিনি ৩৭ শতাংশ।