বিলাবল ভুট্টো। —ফাইল চিত্র।
অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম সোনা এসেছে পাকিস্তানের ঘরে। এ বার পাকিস্তান ফুটবল বিশ্বকাপও জিততে পারে বলে মন্তব্য সে দেশের সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজ়ির ভুট্টোর পুত্র বিলাবল। শুক্রবার ইসলামাবাদে পাক সংসদের নিম্নকক্ষে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন তিনি। বিলাবল ভুট্টোর কথায়, “শুধু অলিম্পিক্স বা ক্রিকেট নয়, যদি সামান্য সাহায্য করা হয়, তবে আমরা ফুটবল বিশ্বকাপও জিততে পারি।” এ বারের প্যারিস অলিম্পিক্সে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছেন পাকিস্তানি ক্রীড়াবিদ আরশাদ নাদিম। দ্বিতীয় স্থানে থেকে রুপো জয় করেছেন ভারতের নীরজ চোপড়া। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বক্তৃতার সময় নাদিমকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন ভুট্টো। সেই সময়েই এই মন্তব্য করেন বেনজ়িরের পুত্র।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব ফুটবলের র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান এখন ১৯৭ নম্বর স্থানে রয়েছে। ভারত তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশ ও নেপালের থেকেও পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বে ফিফার তালিকাভুক্ত মোট ২১০টি দেশ রয়েছে। তার মধ্যে পাকিস্তানের পিছনে রয়েছে মাত্র ১৩টি দেশ। তবে পিপিপি নেতা ভুট্টোর আশা, যদি সে দেশের ফুটবলের পাশে দাঁড়ানো যায়, তবে পাকিস্তানের ফুটবলাররাও বিশ্বজয় করতে পারবে।
পাকিস্তানের সম্ভাবনাময় প্রতিভার কথা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “করাচির লায়ারিতে, প্রত্যেক দু’জন শিশুর মধ্যে একজন ফুটবল বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখে। দুই-তিন সপ্তাহ আগেই আমি পেশোয়ারে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু মেয়েকে দেখলাম তাইকোন্ডোয় (এক ধরনের মার্শাল আর্ট) পদক জিতেছে।” আগামী দিনে যাতে অলিম্পিক্সে আরও পদক জেতে পাকিস্তান, সে জন্য প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের খুঁজে বের করার জন্য তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীকে পরামর্শও দেন।
নাদিম অলিম্পিক্সে সোনা জেতার পরই পাকিস্তানের নেতারা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সাফল্যের নেপথ্যে কার কত অবদান, তা নিয়ে টানাটানি চলছে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানের গত দুই অর্থবর্ষের বাজেটে ক্রীড়ার জন্য বরাদ্দ ক্রমেই কমেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদন বলছে, গত দু’বছরে পাকিস্তানে ক্রীড়া খাতে বাজেট বরাদ্দ ৩৪০ কোটি টাকা থেকে কমে ১৯০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এ প্রকাশ, গত অর্থবর্ষের বাজেটে করাচির স্পোর্টস সেন্টারে ক্রীড়াবিদদের দৌড়ানোর জন্য সিন্থেটিক ট্র্যাক, ফুটবল মাঠ তৈরি করতে বরাদ্দ ছিল ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
স্বাভাবিক ভাবেই বিলাবলের এই মন্তব্য ঘিরে সমাজমাধ্যমে ঠাট্টা শুরু হয়েছে। খোদ পাকিস্তানিরাই বিলাবলকে নিশানা করছেন। ক্রীড়া খাতে যৎসামান্য বরাদ্দ, দুর্নীতির মতো বিষয়গুলি স্থান পাচ্ছে তাঁদের বক্তব্যে।