গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
যৌনদৃশ্যে শিশুদের ব্যবহার করা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ। আর সেই বিতর্কের জেরে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আপলোড করা সব ভিডিয়ো সাইট থেকে আপাতত সরিয়ে নিল পর্ন হাব।
শিশুদের যৌনদৃশ্যে ব্যবহার-সহ নানা অভিযোগ উঠছিল ওই পর্নসাইটটির বিরুদ্ধে। তার জেরে গত সপ্তাহে মাস্টারকার্ড এবং ভিসার মতো সংস্থাগুলি পর্ন হাবের সঙ্গে সব আর্থিক লেনদেনও বন্ধ করে দেয়। বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে, রাতারাতি যাচাই না করা ভিডিয়ো সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওই পর্নসাইট সংস্থাটি।
বিতর্কের সূত্রপাত ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর একটি রিপোর্টকে ঘিরে। গত মাসেই ওই সংবাদপত্রটি তাদের একটি রিপোর্টে লেখে, পর্ন হাব নানা ভিডিয়োর মাধ্যমে শিশুদের ধর্ষণ, প্রতিশোধমূলক যৌনতা এবং গোপন ক্যামেরায় তোলা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া বর্ণবাদ, নারীবিদ্বেষে ‘উৎসাহ’ দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগও তোলা হয় ওই রিপোর্টে। ওই সাইটে নিয়মিত ভাবে ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকাদের উপর যৌন অত্যাচারের দৃশ্য আপলোড করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। বিতর্ক দানা বাঁধতেই ওই সব ভিডিয়ো ‘অফলাইন’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে গুলি, নিহত বন্দুকবাজ
আরও পড়ুন: পাতা উল্টে দেখার সময় এসেছে, ট্রাম্পকে বিঁধে তোপ বাইডেনের
পর্ন হাব জানিয়েছে, নতুন বছরের শুরুতেই তাদের সাইটে ভিডিয়ো আপলোড করার জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। তার মাধ্যমে এ বার থেকে ‘ভেরিফায়েড’ আপলোডাররাই ওই সাইটে ভিডিয়ো আপলোড করতে পারবেন। সংস্থাটির দাবি, তাদের নতুন ব্যবস্থা যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে অনেক বেশি কার্যকর। তবে পর্ন হাবের পাল্টা অভিযোগ, পর্নগ্রাফির সাইট হওয়ার জন্যই তাদের বারবার নিশানা করা হচ্ছে। তাদের মতে, সমস্ত সমস্যার মূলে সেই সব ব্যক্তি, যাঁরা পর্নগ্রাফিকে অশ্লীলতা বলে দেগে দিতে চান।