রবিবারের বিশেষ বক্তৃতা দিচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস (ডান দিকে), তবে বিশেষ ভিড় নেই ভ্যাটিকানে। ছবি: রয়টার্স।
দীর্ঘ সাত মাসেরও বেশি সময় পার করে গতকাল ভ্যাটিকানের বাইরে পা রেখেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। গাড়ি করে গিয়েছিলেন ১৮০ কিলোমিটার দূরে আসিসিতে, ত্রয়োদশ শতকের যাজক সেন্ট ফ্রান্সিসের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর সৌধে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানে উপাসনার পাশাপাশি সে দিন পোপ বার্তা দেন সব রোমান ক্যাথলিক বিশপের উদ্দেশে। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে আজ প্রকাশিত হয়েছে ‘ফ্রাতেলি তুত্তি’ (সব ভাইয়ের উদ্দেশে) নামে পোপের এই ‘খোলা চিঠি’। যার ছত্রে ছত্রে রয়েছে সতর্কবার্তা, ক্রমেই মানুষের পিছিয়ে পড়া নিয়ে আক্ষেপ।
পোপ লিখছেন, অদূরদর্শী, কট্টর, বাধা সৃষ্টিকারী ও আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ বাড়ছে। অতিমারির মোকাবিলায় একজোট হয়ে চলতে, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে দেশগুলি। প্রযুক্তির জোরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি হলেও বিশ্ব টুকরো-টুকরো হয়ে পড়ছে। মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। কেউ অন্যের কথা শুনছে না, যেন একটা স্থায়ী মতানৈক্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল হিসেবে কিছু রাষ্ট্র ও নেতা লাগাতার সমালোচনা ও উপহাস করা আর হতাশা ছড়ানোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। করুণার ধারণাটিই এখন পাগলামি বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৩ সালে পোপ হয়েছেন ফ্রান্সিস। তার পর থেকে গত কয়েক বছরে নানা বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন তিনি। এই পত্রের ব্যতিক্রমী বক্তব্যও ভাবাচ্ছে অনেককে।