প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
একচল্লিশ বছর পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রিয়া গেলেন, আর সেখানেও শান্তির বার্তা দেওয়া অব্যাহত রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল মস্কোয় যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই তিনি শুরু করলেন ভিয়েনায় চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক। নেহামারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মোদী বলেন, “উনিশ শতকে এখানেই ঐতিহাসিক ভিয়েনা কংগ্রেস হয়। ইউরোপে শান্তি ফেরাতে যা দিশা নির্দেশ করেছিল। আজ আমি ও চ্যান্সেলর নেহামার ইউক্রেনের হিংসা, পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি— সব নিয়েই কথা বলেছি।”
এরপর মোদী বলেন, “আগেও বলেছি, এই সময় যুদ্ধের নয়। কোনও নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানিকে মেনে নেওয়া যায় না, তা সে যেখানেই হোক। ভারত ও অস্ট্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ফেরানোর জন্য কূটনীতিতে জোর দিতে চাইছে। সবার সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে রাজি।” যথাযথ সঙ্গত করতে দেখা গিয়েছে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর নেহামারকে। তাঁর যুক্তি, ভিয়েনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়েও নেটো গোষ্ঠীভুক্ত নয়, তাই সমস্যার সমাধানে নিরপেক্ষ মঞ্চ দিতে পারবে। নেহামারের কথায়, ‘‘ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সদ্য রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন। ফলে রাশিয়া কী বলেছে, তা জানা জরুরি ছিল।’’ এ-ও বলেছেন, ‘‘ভারত বৃহত্তম গণতন্ত্র, তার অবস্থান অনন্য। ভবিষ্যতে শান্তি ফেরাতে ভারত আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, আশা করি।”
বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সংস্কার করা উচিত বলে অভিমত দু’দেশের। মোদী জানান, দু’দেশের সহযোগিতার নয়া সম্ভাবনার ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে। আগামী দশকের সহযোগিতার পরিকল্পনাও প্রস্তুত। ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ৪১ বছর কেন অস্ট্রিয়ায় আসেননি, সেই প্রশ্নে বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, তার অর্থ এই নয় যে ভারত অস্ট্রিয়াকে পরিত্যাগ করেছিল। উচ্চ স্তরে দুই দেশের যোগাযোগ ছিল, ২০২০-তে সফর কোভিডের কারণে বাতিল হয়।