মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ্ এল-সিসি (বাঁ দিকে) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিম এশিয়ার টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ্ এল-সিসির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের টেলিফোন কথোপকথনের পর ভারত এবং মিশরের তরফে জানানো হয়, নিজেদের মধ্যে আলোচনায় শান্তি ফেরানোর উপরেই জোর দিয়েছেন মোদী এবং সিসি। তবে দুই দেশের বিবৃতিতে কোথাও ইজ়রায়েল কিংবা প্যালেস্তাইনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়নি।
মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিম এশিয়ায় নিরাপত্তা এবং মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসবাদ, হিংসা এবং সাধারণ নাগরিকেদের মৃত্যু নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে, দ্রুত ওই এলাকায় শান্তি এবং সুস্থিতি ফেরানো প্রয়োজন।”
পরে মিশরের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট এল সিসিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেছিলেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধান পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রসঙ্গত, গাজ়ায় মানবিক সাহায্য এবং ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি মিশরের রাফা সীমান্তকে ব্যবহার করছে। ভারতও এই স্থলপথ দিয়েই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়ায় ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে।
আরব দেশগুলির মধ্যে মিশর প্যালেস্তাইন প্রশ্নে অতীতে বহু বার সরব হলেও, চলতি সংঘাতে তারা নিরপেক্ষ কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েই চলছে। একই ভাবে ভারতও এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার নীতি নিয়েই এগোচ্ছে। অন্য দিকে, ভারতের সঙ্গে মিশরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট উন্নত। ২০২৩ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট।