Animal

Switzerland: গবেষণাগারে প্রাণিহত্যা, ভোট সুইৎজ়ারল্যান্ডে

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইঁদুর, গিনিপিগ বা অন্য প্রাণীদের উপরে ল্যাবে পরীক্ষা করা বন্ধ হোক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জ়ুরিখ শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রাণীদের উপরে গবেষণাগারে পরীক্ষা বন্ধ করা উচিত কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ভোট করছে সুইৎজ়ারল্যান্ড। প্রাণী-হত্যার বিরোধীরা যদি ভোটে জিতে যান, সে ক্ষেত্রে সুইৎজ়ারল্যান্ডই প্রথম দেশ হবে, যেখানে ল্যাবে প্রাণীর ব্যবহার নিষিদ্ধ হবে।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক ও বিক্ষোভ চলছে এ দেশে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইঁদুর, গিনিপিগ বা অন্য প্রাণীদের উপরে ল্যাবে পরীক্ষা করা বন্ধ হোক। তাঁদের দাবির সমর্থনে সই সংগ্রহ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এবং পরিস্থিতি যে দিকে গড়ায় তাতে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। সুইৎজ়ারল্যান্ডের গণতন্ত্রে সকলেরই অধিকার আছে। ভোটে বিক্ষোভকারীদের বিপক্ষে রয়েছে দেশের নামজাদা ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। রোশে, নোভারটিসের মতো আন্তর্জাতিক ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির বক্তব্য, নতুন ওষুধ তৈরিতে এই গবেষণা আবশ্যিক।

যে কোনও ওষুধ, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে মানুষের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগে প্রাণীদের শরীরে পরীক্ষা হয়। যা নিয়ে বিশ্বে এত হইচই, সেই কোভিড টিকার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। এটি বিশ্বের সব দেশে প্রযোজ্য। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, শুধুমাত্র সুইৎজ়ারল্যান্ডে ২০২০ সালে গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য ৫ লক্ষের বেশি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দাবি, প্রাণীদের এ ভাবে ব্যবহার করা অনৈতিক ও অপ্রয়োজনীয়।

Advertisement

তবে ভোটের আগে একটি প্রাক-নির্বাচনী জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৬৮% মানুষ গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য প্রাণীদের ব্যবহার করার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, ভোটে হয়তো জিতবে ওষুধ-সংস্থাগুলিই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement