গণভবন থেকে এই মার্জারকেই তুলে নিয়ে গিয়েছিল হামলাকারীরা। ছবি: ফেসবুক।
শেখ হাসিনার পোষ্য মার্জার আবার ফিরে এল গণভবনে। রাজহাঁস, খরগোশ, মাছ, সারমেয়দের সঙ্গে গণভবন থেকে লুট হয়ে গিয়েছিল হাসিনার প্রিয় সেই পার্সি বিড়ালও। বাংলাদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বাসভবন থেকে লুটের পর ৪০ হাজার বাংলাদেশি টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল বিড়ালটিকে। অবশেষে বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) তাকে ফিরিয়ে এনেছে। গণভবনে ফিরেছে হাসিনার প্রিয় জার্মান শেফার্ডটিও।
ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ‘অভয়ারণ্য’ নামে ওই সংগঠনটি জানিয়েছে, হাসিনার বিড়ালটিকে ফেরানো হয়েছে গণভবনে। জার্মান শেফার্ড কুকুরটিকেও ফেরানো হয়েছে। শাম্মি ইসলাম নীলা নামে এক মহিলার কাছে ছিল সেটি। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল। আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি। সেখানে দেখা গিয়েছিল, গলায় চেন দিয়ে টেনেহিঁচড়ে গণভবন থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই সারমেয়কে। সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, যে সব পশুপাখি গণভবন থেকে লুট করা হয়েছিল, তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে তারা। শুধু তা-ই নয়, ওই পশুপাখিদের যাতে যত্ন হয়, সে দিকেও নজর দিয়েছে তারা।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, গণভবনে ওই পশুপাখিদের যিনি যত্নআত্তি করতেন, তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। প্রয়োজনে পশুপাখিদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাঁরা গণভবন থেকে পশুপাখি লুট করেছেন, তাঁদের অবিলম্বে সেগুলি ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেছে সংগঠন। গণভবনের ফটকে রক্ষীর হাতে সেগুলি তুলে দিতে বলা হয়েছে। যাঁরা নিজেরা গণভবনে যেতে চান না, তাঁদের কাছ থেকে এই সংগঠনের সদস্যেরা পশুপাখি সংগ্রহ করে ফিরিয়ে দেবে। একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনের জেরে সোমবার বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পরেই তাঁর বাসভবনে ঢুকে পড়েন বহু মানুষজন। চলে লুটপাট। হামলাকারীদের থেকে রক্ষা পায়নি গণভবনের চত্বরে ঘুরে বেড়ানো পশুপাখি। রাজহাঁস, খরগোশ, ছাগল, বিড়াল কাঁধে, কোলে তুলে অনেককেই বার হতে দেখা গিয়েছে। সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পশুপ্রেমীরা। তার পর অনেকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন হাসিনার কিছু পোষ্য। তালিকায় রয়েছে বিড়াল এবং কুকুর। তবে তাঁর গোল্ডেন রিট্রিভারের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি।