—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত বছর পর্তুগালের লিসবনে কুমোরটুলি থেকে মাতৃপ্রতিমা এনে দুর্গোৎসবের সুচনা হয়েছিল। এ বছর আরও উৎসাহ নিয়ে ‘ভূমি— ইন্ডিয়ান কালচারাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর পরিচালনায়, লিসবনের ভারতীয় দূতাবাস ও আরয়োস প্যারিশ কাউন্সিল (লিসবন)-এর সহযোগিতায় পুজোর আয়োজন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাতৃ আরাধনায় শামিল হওয়ার পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়াদাওয়া ও মেলা আমাদের কাছে এক বিশেষ প্রাপ্তি। এ বছর পুজোর দিনগুলো সপ্তাহান্তে, তাই পরিকল্পনা ও আনন্দের মাত্রা সীমা ছাড়াতে চায়। গত বছরের মতো এ বছরও আমাদের দুর্গাপুজোর আয়োজন তিন দিনের। ষষ্ঠী আর সপ্তমীর পুজো হবে ২১শে অক্টোবর, শনিবার। অষ্টমী ২২শে অক্টোবর, রবিবার। নবমী আর দশমীর পুজো ২৩ শে অক্টোবর, সোমবার।
ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিব্ল কালচারাল হেরিটেজ’ তকমা পাওয়া দুর্গাপুজোর আনন্দকে আমরা, পর্তুগালবাসীরা, এখানকার সব বাঙালি, অবাঙালি ও বিদেশিদের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে এই পুজোকে আক্ষরিক অর্থে বিশ্বজনীন করে তোলার চেষ্টা করি। মন ভাল করা পুজোর দিনগুলোতে ছোট-বড়, দেশি-বিদেশি সবাই মিলে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে সৌহার্দ্যের বার্তা এবং খুশির রং চার দিকে ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের পুজোর মূলমন্ত্র।
অতলান্তিক মহাসাগরের তীরের এই ছোট্ট দেশটিতে সারা বছর প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন। সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই কমে যায়, কিন্তু এ সময়ে এখানকার আবহওয়া থাকে অত্যন্ত মনোরম এবং রোদ ঝলমলে। তাই পুজোর ছুটিতে যাঁদের ইউরোপ বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে, তাঁদের এক বার লিসবন ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ‘ভূমি’র পুজোয় আপনারা দেশের পুজোর পরশ পাবেন।