চলছে লড়াই। ফাইল চিত্র।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখে যা-ই বলুন না কেন ইউক্রেনে হামলা থামাচ্ছে না রাশিয়া। সোমবারের পর মঙ্গলবারেও ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতারহামলার খবর মিলেছে। সদ্য কাজাখস্তানের সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, হামলার আর কোনও প্রয়োজন তিনি দেখছেন না। তবে বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটেনি।
১০ অক্টোবরের পর থেকে হামলার নিশানা ক্রমেই স্পষ্ট করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে হামলা চালাচ্ছে তারা। মঙ্গলবারেও রাজধানী কিভ-সহ একাধিক শহরের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে হামলা চলেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও জানিয়েছে, ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সেনা ছাউনিগুলিকে নিশানা করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সফল ভাবে ছুড়তে পেরেছে তারা।
এ দিকে কিভের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে বিদ্যুৎ পরিষেবা কার্যত ভাঙনের মুখে। ইউক্রেনের এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে নেমে এসেছে অন্ধকার। যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের আগে এ ভাবে ইউক্রেনকে বিদ্যুৎহীন করে, শক্তিহীন করে দিয়ে লড়াইয়ের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাইছে রাশিয়া। তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেছেন, ‘‘এ ভাবে আমাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে না। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’’ টুইটারে জ়েলেনস্কি আরও বলেন, ‘‘আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আর কোনও অবকাশ রাখলেন না ভ্লাদিমির পুতিন।’’ মঙ্গলবারের হামলার পরে রাজধানী কিভের বিভিন্ন অংশে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কিভের পশ্চিমাংশে, জ়াইটোমির অঞ্চলের বহু এলাকায়, নিপ্রো শহরের একাংশ পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বলে জানা গিয়েছে।
এ দিকে গতকাল রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইরানের কামিকাজ়ে ড্রোন হামলা চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে, আজ তা নস্যাৎ করেছে মস্কো। রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনে তারা নিজস্ব ড্রোনেই হামলা চালিয়েছে। ইরানও জানিয়েছে, তারা রাশিয়াকে এই ড্রোন পাঠায়নি। তবে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির দাবি, মিথ্যে বলছে তেহরান প্রশাসন। কামিকাজ়ে ড্রোনের জোগান দিয়েছে তারাই।