পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন। — ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন, তা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা হয়নি। তবে গত মঙ্গলবার রাতে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জ়ারদারি জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শাহবাজ় শরিফ। তবে সদ্যসমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে ‘কারচুপি’র অভিযোগ নিয়ে এখনও সরগরম ভারতের পড়শি দেশের রাজনীতি। তার মধ্যেই ঘোষণা হয়ে গেল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ দাবি করেছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন আগামী ৯ মার্চের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করাবে। কে হবেন দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, সেই জল্পনার অবসানও ঘটিয়ে দিয়েছেন বিলাবল ভুট্টো। উল্লেখ্য, এ বারের সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানে কোনও রাজনৈতিক দলই সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই কোন দল পাকিস্তানে সরকার গঠন করবে, তা নিয়ে দোলাচল চলছিল।
গত মঙ্গলবারই চূড়ান্ত হয় পাকিস্তানের সরকার গঠনের সমীকরণ। জানা যায়, নওয়া়জ় শরিফের পিএমএল-এনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়তে চলেছে পিপিপি। সে দিন রাতে এক পাশে শাহবাজ় এবং অন্য পাশে বাবা আসিফ জ়ারদারিকে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিলাবল। সেখানেই তিনি পিএমএল-এনকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের নামও ঘোষণা করেন বিলাবল। শাহবাজ় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, আর প্রেসিডেন্ট হবেন আসিফ আলি জ়ারদারি। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বর্ধিত সময়ের জন্য দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাছেন আরিফই।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ভোটের ফল প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। আর সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। তাঁরা জিতেছিলেন মোট ৯৩টি আসনে। এই ফলের জেরে কোনও দলই একক ভাবে সরকার গড়ার মতো অবস্থায় ছিল না। তবে মঙ্গলবারই ‘জোট’ বেঁধে সরকার গঠনের কথা ঘোষণা হয়ে যায়।